সর্বশেষঃ

অটিজম এর লক্ষণ ও আমাদের করনীয়

মোঃ মিজানুর রহমান ( মিজান)
(লেখাটি ২০১৮ সালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এর স্মরণিকায় প্রকাশিত হয় )

 

২০০৬ সালে আমার যুক্তরাস্ট্রে আসা এবং তখন থেকেই আমি নিউইয়র্কে স্থায়ী বসবাস করছি । বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে আমি গর্বিত এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং (‘৯৪-৯৫) এল্যামনাই উদযাপন হচ্ছে জানতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত এবং এর স্মরণিকায় আমাকে আমার পেশা ( টিচিং ইন স্পেশাল এডুকেশন) সম্পর্কে কিছু লিখতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি আয়োজক বন্ধুদের নিকট আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।
২০১০ সালে আমি নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট এব এডুকেশনে এডুকেশনাল এসোসিয়েট পদে যোগদান করি । এটি একটি সরকারি স্কুল যেখানে আমরা অটিস্টিক (৬-২১ বছর) ছাত্রদের শিক্ষাদান করে থাকি । আমেরিকায় দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা । স্পেশাল এডুকেশন ও জেনারেল এডুকেশন । এটি একটি সিটি ওয়াইড এডুকেশন প্রোগ্রাম যাকে আমরা বলি “ No Child left behind”.
বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে আমার অটিস্টিক বাচ্চাদের সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিলনা। এখন এ পেশায় এসে অটিজম সম্পর্কে কিছু জানতে পারছি । এবং সাথে সাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সম্পর্কে আমাদের জানার ও আগ্রহ বেড়েছে। আমাদের পরিচিতদের মধ্যে ও অনেকের অটিস্টিক শিশু জন্ম নিচ্ছে । পরিসংখ্যান মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ১.৪৭ শতাংশ এবং জাপানে ১.৬১ শতাংশ শিশু অটিস্টিক। বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুর গড় হার ০.১৫ শতাংশ হলেও ঢাকায় এ হার ৩ শতাংশ (সূত্র : সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন)। এখানে চাকুরীতে যোগদানের পর আমাকে স্পেশাল এডুকেশন এ পদায়ন করা হয় । কাজেই এখন পর্যন্ত আমি এদের সাথেই কাজ করে যাচ্ছি । এদের কাছ থেকে ও আমি অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারছি।
What is Special Education?
In the United States, special education refers to a range of services, designed to meet the needs of students with qualifying disabilities.
These services are governed and regulated by the Individuals with Disabilities Act (IDEA). Special education services include additional in-classroom support, time in “resource rooms” that offer supplementary learning in smaller groups, and placement in special education schools exclusively for the disabled.
Notwithstanding, most special education students attend mainstream schools with general education students, and usually spend most of their time in regular classrooms.
Who is eligible for special education?
Certain children with disabilities are eligible to receive special education and related services. IDEA offers a definition for a “child with a disability,” and the law lists 13different categories of disabilities under which children can be eligible to receive special education and related services.
These categories are:
Autism, Deaf-Blindness, Deafness, Developmental Delay,Emotional Disturbance,Hearing Impairment, Mental Retardation,Multiple Disabilities,Orthopedic Impairment,Other Health Impairment,Specific Learning Disability,Speech or Language Impairment,Traumatic Brain Injury,Visual Impairment Including Blindness2Parent Participation.
অটিজম কি ?
অটিজম বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার শিশুদের একটি স্নায়ুবিক-বিকাশজনিত সমস্যা (Neurodevelopmental Disorder) যা আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি করা মানসিক রোগের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে রচিত। অটিজম উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেরও একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। কোনো শিশুর অটিজমের যেকোনো লক্ষণ থাকলে তার অটিজমের সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
শিশুর বিকাশের এই অস্বাভাবিকতা সাধারণত ১২-২৪ মাসের মধ্যেই বোঝা যায় তবে বিকাশের গতি যদি গুরুতরভাবে ধীরগতিতে হয় তখন ১২ মাসের মধ্যেই পরিস্কারভাবে বুঝতে পার যায়। অর্থাৎ অটিজমের ক্ষেত্রে আচরণগত সমস্যাগুলো অতিশৈশব কালেই ধরা পরে। কার কার ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম বৎসরের মধ্যেই সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন আগ্রহ থাকে না। এছাড়া বিকাশ জনিত ধীরগতির বিষয়টি ক্রমান্বয়ে অথবা দ্রুত অবনতি হতে দেখা যায় ২ বৎসর বয়স এর মধ্যেই। কিছু অবনতি বা ক্ষতি রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে কাজ করে।
লক্ষণসমূহঃ
মানুষ জন্মগতভাবে সামাজিক জীব। আমাদের একে অপরের সাথে দেখা হলে আমরা মুখে অথবা আকার ইঙ্গিতে কুশল বিনিময় করে থাকি যা শুরু হয় শিশুবয়সে। সাধারণত শিশুর জন্মের ৬ মাসের মধ্যে সে ইশারা, শব্দ করা এবং হাসি দেওয়া প্রভৃতি সংকেতে সাড়া দেয়। কিন্তু অটিস্টিক শিশুদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অনুপস্থিত থাকে।
এ ধরনের শিশুরা একা থাকতে পছন্দ করে, অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে আগ্রহী নয়। কাছে ডাকলে ও আদর করলে আসতে চায় না, বরং বিরক্তি প্রকাশ করে। তারা সাধারণত সরাসরি তাকানো এড়িয়ে চলে।
কারো সাথে কথা বলা অথবা ইশারার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনের সমস্যা অটিজমের আরেকটি বৈশিষ্ট্য (Verbal & Non-verbal Communication)। যারা অল্পবিস্তর কথা বলতে পারে সেটিও অনেক ক্ষেত্রে অর্থহীন কথাবার্তা বলে মনে হয়। আবার দেখা যায় ২ বছর বয়সে গিয়ে পূর্বে অল্পবিস্তর কিছু শব্দ বলতে পারত তা আর বলতে পারে না। অটিস্টিক শিশুদের সীমিত বিষয়ের প্রতি আগ্রহ যেমন : একই ধরনের পরিবেশ, খাবার, খেলনা, রং, পোশাক, বিছানা প্রভৃতির প্রতি আগ্রহ লক্ষ করা যায়। এর ব্যতিক্রম ঘটলেই তারা অস্থিরতা ও বিরক্তি প্রকাশ করে। বিভিন্ন ধরনের অর্থহীন অঙ্গভঙ্গি অটিজমের একটি বৈশিষ্ট্য।
এ লক্ষণসমূহ সাধারণত একবছরের মধ্যেই প্রকাশিত হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে অনেক সময় ৩-৫ বছর অথবা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।অটিজম এর প্রথম লক্ষণ হচ্ছে ভাষা বিকাশের ধীর গতি। ইহা সামাজিক বিষয়ে আগ্রহ এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। যেমনঃ এক জনের দিকে না তাকিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া। তার চারিদিকে খেলনা ছড়িয়ে রাখলে ও কখনই তা দিয়ে খেলেনা। একটি বর্ণমালার নাম জানলেও জিজ্ঞসা করলে বলেনা।
২ বৎসরে তার মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ একই ধরণের আচরণ/নিদিষ্ট আচরণ বার বার করার প্রবণতা, সঠিকভাবে খেলতে না পারার বিষয়গুলো সহজেই চোখে পরে। এধরনের আচরণ প্রবণতা পরবর্তী জীবনেরও বয়ে বেড়ায়। কিশোররা একই ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে । একই ধরনের ভিডিও বার বার খেলে। পায়ের পাতায় ভর দিয়ে হাটো, কুনই এ আঘাত করে থাকে। নির্দিষ্ট আচরণ বার বার করার প্রতি অগ্রহের বিষয়গুলো অনেক সময় স্কুলে যাবার আগে সনাক্ত করা সম্ভব হয়না।
খুবই অল্প সংখ্যকই প্রাপ্ত বয়সে স্বনির্ভরশীল জীবন যাপন করতে পারে । তারাই পারে যাদের ভাষাগত এবং বুদ্ধিবৃত্তীক ক্ষমতা উচ্চতর ধরণের এবং যে কাজ সে করছে সেটি যদি তার পছন্দ এবং আগ্রহের সাথে মিলে যায় তবেই সেটা সম্ভাব হয়। যাদের অল্প মাত্রায় সমস্যা থাকে তারা স্বনির্ভরশীল হয়ে কাজ করতে পারে।
যাই হোক, সামাজিক অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে অন্যের সাহায্য ছাড়া বাস্তব জীবনের অনেক চাহিদাই পূরণ করতে পারেনা এবং উদ্বেগ এবং বিষন্নতায় ভুগতে পারে। অটিজম আক্রান্ত কিছু প্রাপ্ত বয়স্করা বলেন যদিও তারা খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করেন, যার ফলে অন্যরা তাদের সমস্যা গুলো বুঝতে পারেনা কিন্তু সামাজিক গ্রহণযোগ্য আচরণ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে অনেক চাপের সৃষ্টি হয় তথাপি বয়স্কদের ব্যপারে খুবই কম তথ্য জানা গিয়েছে।
অটিজমের প্রকোপঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৬৮ জন শিশুর ১ জন অটিজমে আক্রান্ত যা বর্তমানে মহামারি পর্যায়ের। বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঢাকা বিভাগে পরিচালিত (২০০৯) এক জরিপে দেখা যায়, এ দেশে প্রতি ১০০ শিশুর প্রায় ১ জনের অটিজমের সমস্যা রয়েছে যা উন্নত দেশগুলির কাছাকাছি। ছেলেদের অটিজম হওয়ার ঝুঁকি মেয়েদের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি।
অটিজমের কারণঃ
বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এখন পর্যন্ত অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে বংশগতি ও জন্মগত কারণ, প্রতিকূল পরিবেশ, মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক গঠন ও ভ্যাকসিন (MMR Vaccine) প্রভৃতি কারণসমূহ অটিজম হবার ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া বা শিশু পরিচর্যার ধরনের কারণে অটিজম হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে মায়েরা অপরাধবোধে ভোগেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদি নেই। এ জন্য অপরাধবোধে ভোগার কোনো অবকাশ নেই।
অটিজম নির্ণয় ও চিকিত্সাঃ
দ্রুত অটিজম নির্ণয় করে ব্যবস্থা নিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অটিস্টিক শিশুর কর্মক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ও অটিজম এক্সপার্টের সহায়তায় অটিজম নিরূপণ করা যায়। চিকিৎসার শুরুতে অবশ্যই শিশুর শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত দক্ষতাসহ বিকাশের ক্রমপর্যায় সঠিকভাবে নিরূপণ করতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ অটিস্টিক শিশুর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থাকে যার চিকিৎসা ব্যতীত শিক্ষামূলক, পুর্নবাসনমূলক ও বিকাশে সহায়ক অন্যান্য চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয় না।
অটিজমের চিকিত্সা একটি দলগত প্রক্রিয়াঃ
অটিজমে আক্রান্ত শিশুর কার্যকর চিকিৎসা একটি দলগত প্রক্রিয়া যেখানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদসহ বিভিন্ন সহায়ক পেশাজীবীর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। শিশুর অভিভাবক ও পরিচর্যাকারীর অটিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি। এ ছাড়াও ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুর শারীরিক ও মানসিক রোগের চিকিত্সাঃ
অটিস্টিক শিশুদের প্রায় ২৫-৪০ শতাংশ জনের খিঁচুনির সমস্যা দেখা যায় যেটি সাধারণত কৈশোর বয়সে (১১-১৪ বছর) আরম্ভ হয়। এ ছাড়াও পেটের পীড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিভাব, ঘুমের সমস্যা, মাথাব্যথা, কানের সমস্যা ও মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসা সহায়তায় ও সাধারণ পরামর্শের মাধ্যমে এগুলি দূর করা সম্ভব। অটিস্টিক শিশুর শতকরা ২৫ থেকে ৬০ ভাগের বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার সমস্যা থাকতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও অতি চঞ্চলতা (Attention Deficit Hyperactivity Disorder), একই ধরনের আচরণ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, ভয় অন্যতম। এ সকল ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ওষুধ প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের আচরণগত সমস্যা যেমন : সহিংস আচরণ, নিজের শরীরে আঘাত প্রভৃতি দেখা যায়। আচরণগত সমস্যা সমাধানে আচরণ পরিবর্তন পদ্ধতিসহ (Behavior Modification) বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক চিকিৎসা খুবই গুরুতপূর্ণ। এ ছাড়াও ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ জরুরি।
মায়েদের করণীয়ঃ
মায়েদের অটিজম সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণা থাকা ও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ জরুরি।
শিশুর ব্যক্তিগত দক্ষতা, যেমন পরিচ্ছন্নতা, খাওয়া, পোশাক পরিধান প্রভৃতি কাজ কিভাবে ধাপে ধাপে শিখানো যায় সে বিষয়ে জানতে হবে।
শিশুর সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা গ্রহণ, শিশুরা যাতে পরিচিত ও অপরিচিতজনের দ্বারা হয়রানি, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার না হয় সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
অটিস্টিক শিশুর ভেতর লুকিয়ে থাকা অপার সম্ভবনাগুলো খুঁজে বের করুন ও সেগুলো বিকাশে সহযোগিতা দিন। তাদের অর্জন ও ভালো কাজে উৎসাহ দিন ও তা উদযাপন করুন। অটিস্টিক শিশুর মা হিসেবে কখনোই লজ্জিত হবেন না। কারণ আপনি যদি বিষয়টি মন থেকে মেনে নিতে না পারেন তাহলে সেটি আপনার আচরণে প্রকাশ পাবে যা শিশুর বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে চাপমুক্ত হওয়ার কৌশল অর্জন ও মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ার কৌশল অর্জন প্রয়োজন হয়।
শিশু পরিচর্যার সাথে সাথে মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা দরকার। এ জন্য ব্যক্তিগত জীবন উপভোগ করুন, অন্যথায় একসময় শক্তি নিঃশেষিত হয়ে যাবে ও আপনি ভেঙে পড়বেন। অনেক সময় অটিস্টিক শিশু ও তার ভাইবোনদের মধ্যে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দেখা যায়। এ জন্য চিকিৎসক ও পরামর্শকের সহায়তা প্রয়োজন।
অটিস্টিক শিশু লোকসমাজে উপস্থাপনঃ
অটিস্টিক শিশুরা অপরিচিত ও বাইরের পরিবেশে এলে অনেক সময় অস্থিরতা ও অপ্রত্যাশিত আচরণ করে থাকে। এ জন্য আগে থেকে আচরণের ন্যূনতম প্রত্যাশিত মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে যেন সে কোনো ক্ষতিকর অচরণ থেকে বিরত থাকে। পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জায়গার মানচিত্র, ছবি বা ভিডিওচিত্র প্রদর্শন অনেকাংশে ফলপ্রসূ। এ ছাড়াও এসব পরিস্থিতিতে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ কৌশল অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় এটি শিশুর মনোজগতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতাঃ
ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরি অটিস্টিক শিশুর বেড়া ওঠায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রয়োজন। এ ধরনের শিশুর জন্ম হওয়ার কারণ নিয়ে গবেষণা চলছে। অটিস্টিক শিশুরা নিজেদের খুব একটা প্রকাশ করতে পারে না। তাদের শব্দভাণ্ডার খুব বেশি থাকে না।
তাই অনেক সময় তারা একই কথা বারবার বলতে থাকে। এজন্য তাদের চাহিদার বিষয়টির প্রতি তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলে প্রচণ্ড রেগে যায়। তখন তাদের রাগ কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় একজন অটিস্টিক শিশু তার আগ্রহের বিষয়টিতে খুবই পারদর্শী। শিশুসুলভ কোনো কোনো আচরণের ক্ষেত্রেও তারা দারুণ মেধা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়।
একসময় মা’দের অবহেলা ও ব্যস্ততার জন্য শিশুদের অটিজম হয়েছে বলে ধারণা করা হতো। তবে এ ধারণার পক্ষে বিজ্ঞানসম্মত সমর্থন পাওয়া যায়নি। তাছাড়া সমাজে সন্তানদের কোনো কিছু হলেই মা’দের দোষ দেয়ার প্রবণতা চালু আছে। প্রকৃতপক্ষে অটিজমের কারণ পুরোপুরি জেনেটিক নয়, চারপাশের অনেক কিছুই এর জন্য দায়ী।
বর্তমান বাস্তবতায় অটিজম সম্পর্কে জনসচেতনতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুজনিত রোগের জটিলতা বর্তমান সময়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য চিকিৎসাসেবা বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। কেবল চিকিৎসাসেবা দিয়ে অটিজম আক্রান্তদের ভালো করা সম্ভব নয়। আক্রান্ত শিশুদের মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক সমস্যা সমাধানকল্পে কাজ করা প্রয়োজন।
অনেক সময় যথাযথ জ্ঞান ও ধারণার অভাবে এ ধরনের শিশুদের সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে খুব একটা নেয়া হয় না। অন্যান্য শিশুর সঙ্গে তাদের মেলামেশার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষিত বাবা-মা ও সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
অটিজমের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান হিসাবে পিতামাতার বয়স, জন্মকালীন কম ওজনের শিশু এবং বংশগতির প্রভাব রয়েছে। এছাড়া অটিজমের কারণে তার ব্যবহারিক জীবনে কি ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সেই বিষয়েও আলোচনা করা প্রয়োজন। শিক্ষণে সমস্যা হয় বিশেষ করে যে সব শিক্ষণ সামাজিক পারস্পরির সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা, মেলা-মেশায় সমস্যা হয়। তার চাহিদা পূরণ করতে না পারলে বা রুটিনে যদি কোন পরিবর্তন হয় তবে সে বিরক্ত হয়।
তার খাওয়া, ঘুম, চুলকাটা, দাঁতব্রাশ ইত্যাদির ক্ষেত্রে তীব্র সমস্যার সৃষ্টি করে। পরিকল্পণা প্রনয়ণ, সংগঠিতকরণ এবং খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তীব্র সমস্যার কারণে লেখা-পড়া নেতিবাচক প্রভাব পরে। যদিও কার কার ক্ষেত্রে গড় বুদ্ধি রয়েছে। কিন্তু পরিবর্তনের প্রতি অনিচ্ছা এবং নতুনত্বের প্রতি আগ্রহ না থাকার কারণে এরা প্রাপ্ত বয়সে এসেও স্বনির্ভরশীল হতে পারে না।
গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায় প্রায় ১০,০০০ জনের মধ্যে ২০ জন অটিজমে আক্রান্ত ( ফোমবোন ২০০৯)। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের চারগুণ বেশী হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৮% শিশু অটিজমে আক্রান্ত। মনে রাখতে হবে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের লক্ষণ গুলো সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে কমে বা চলে যায়না। ভাল পরিস্থিতির দিকে বা অক্ষমতা কমিয়ে আনার জন্য সারাজীবন শিক্ষা অর্জন করতে হয়।
অটিস্টিক শিশুকে ঘুম পাড়ানোর কিছু টিপসঃ
অটিস্টিক শিশুদের অধিকাংশেরই ঘুমজনীত সমস্যা থাকে। কেউ কেউ ঘুমুতে দেরী করে এবং ঘুমের কোন সময় থাকেনা, আবার ক্ষেত্রবিশেষে তাদের ঘুম পাড়ানোর জন্যে বিছানায় নেয়া যায় না। কিন্তু যখন ঘুমোয় তখন বেঘোরে ঘুমায় এবং সকালে টেনে উঠানো যায় না। আবার কাউকে ঘুম পাড়ানোই একটা ছোটখাট যুদ্ধের মত এবং তাদের ঘুম খুব পাতলা, যখন তখন অল্পেই জেগে যায় ও অস্থির আচরণ করে। যে অটিস্টিক শিশুটির ঘুম গভীর, তার মধ্যে অতি চাঞ্চল্য বা হাইপার‍্যাক্টিভিটি কম থাকে।
অটিস্টিক শিশুদের ঘুম সংক্রান্ত ব্যাপারে নিম্নের কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে পারেন। এ প্রসংগে উল্লেখ্য, কোন সুনির্দিস্ট ফর্মুলা দিয়ে অটিস্টিক শিশুদের ঘুম পাড়ানোর টেকনিক নাই। প্রতিটি অটিস্টিক শিশু আলাদা আলাদা ধরণের। তবে কিছু সাধারণ পদ্ধতী অনুসরণ করলে তাদের ঘুম পাড়ানো তরান্বিত করা সম্ভব।
১। যে সময়ে আপনার অটিস্টিক শিশুটিকে ঘুম পাড়াতে চাচ্ছেন, তার অন্তত ১-২ ঘন্টা আগে টেলিভিশন বা কম্পিউটার বন্ধ করুন। এসবের প্রোগ্রামসমূহ তাদেরকে সাধারণত স্টিমুলেট করে।
২। ঘুমের আগে তার সাথে যদি খেলাধুলাও করতে হয়, সেসব যেন খুব বেশী হৈ হুল্লোড় ধরণের না হয়। সেগুলো তাকে অস্থির বা উত্তেজিত করে ফেলে। ঘুমের আগে তার সাথে রেসলিং বা তাকে ধরে সুড়সুড়ি দিয়ে খেলা না করাই ভাল। এগুলো তার ঘুম বিলম্ব করাবে।
৩। যে সকল একটিভিটি নিরবে করা যায়, কিন্তু তাকে চিন্তা করাবে সেসব কিছু বেডটাইম প্লে হিসেবে এ সময় আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। যেমনঃ ড্রয়িং করা, বই এর ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে পড়ানো বা পাজল মেলানো এসব খেলা ঘুমের সময় করানো যেতে পারে।
৪। প্রেশার টাচ অটিস্টিক শিশুদেরকে শান্ত থাকতে সহায়ক। আপনার শিশুকে গোসল করানোর পর টাওয়েল দিয়ে গা মোছানোর সময় বা তার গায়ে লোশন মাখার সময় ভাল করে সহনীয় প্রেশার এপলাই করুন।
৫। হালকা মিউজিক অনেক শিশুকে রিলাক্সড করে এবং সেটি তাদের ঘুমের জন্যে সহায়ক।
৬। পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়াও খুব ভাল কাজে দেয়। এ সময় লক্ষ্য রাখবেন যে প্রথমে ঘাড় থেকে হাত বুলিয়ে ক্রমান্বয়ে কোমরের দিকে হাত বুলোবেন।
৭। ঘুম পাড়ানোর সময় ছন্দ মেলানো কবিতা পড়াও শিশুদের শান্ত করে। গল্প করলেও চলে, তবে গল্প বলার চেয়ে ছড়া শোনানো বেশী কার্যকর।
৮। প্রেশার টাচ এর ন্যায় শরীরের নিজস্ব তাপও শরীরের জন্যে Calming. এজন্যে কাথা মুড়ি দিয়ে শোয়ানো, আঁটসাঁট নয়- কিন্তু শরীরকে জড়িয়ে রাখে এমন অবস্থা, ঘুম পাড়ানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এজন্যে কেউ কেউ স্লীপিং ব্যাগও ব্যবহার করেন।
অটিজম ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিহ্যাভিয়র থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, ফিজিক্যাল থেরাপি, স্পিস থেরাপি, ফ্যামিলি কাউন্সিলিং এর প্রয়োজন হয়। এদের কে স্পেশালাইড স্কুলে ভর্তি করার আবশ্যকতা রয়েছে। উপযুক্ত শিক্ষা তাদের সমাজ জীবনে খাপ-খাওয়াতে সাহায্য করবে।
শিক্ষামূলক কর্মসূচিঃ
জতিসংঘ বিশ্বব্যাপী অটিজম বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ২০০৮ সাল থেকে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালনের সূচনা করে। বর্তমান সরকার অটিস্টিক শিশুসহ সব ধরনের বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী শিশুর অধিকার রক্ষায় সংবেদনশীল। অটিস্টিক শিশুর সুস্থ বিকাশ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে অটিজমবিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও একসঙ্গে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশে অটিজম এর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করছে । সরকারি পর্যায়ে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও বিদ্যামান প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র, মিরপুর, ঢাকা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম ও জেলা পর্যায়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত স্কুল ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে এ সেবা পাওয়া সম্ভব।
চিকিৎসা সহায়তা কোথায় পাবেন এর কিছু ঠিকানা নিম্নে দেয়া হলঃ
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যমান বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র হতে অটিস্টিক শিশুদের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা পেতে পারেন। এদের মধ্যে শিশু বিকাশ ক্লিনিক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (সোম ও বুধবার), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (IPNA), মানসিক রোগ ও শিশু বিভাগ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শিশুমাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মাতুয়াইল, ঢাকা এবং জাতীয় প্রতিবন্দ্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, মিরপুর, ঢাকা এর অটিজম রিসোর্স সেন্টার অন্যতম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অটিজম নিয়ে কাজ করে সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশন অটিস্টিক শিশুদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
1.Suchona Foundation
Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Memorial Trust
2nd floor House 8, Road 11 , Dhanmondi, Dhaka 1209
TELEPHONE :- +880 17 52533040
EMAIL ADDRESS :- info@shuchona.org
2.Centre for the Rehabilitation of the Paralyzed-CRP
CRP- Chapain, Savar, Dhaka-1343, Bangladesh
Phone- 01730059555
3.DhakaSunshineLearningCenter
House: 20/B, Road:82, Gulshan-2
Dhaka, Bangladesh
Call +880 1760-868346
4.Prerona Autism School
House # 12, Gate# 9, Road#2, Lane#3, Block# K
Halishohor H/A, Chittagong
+880 1814-727272
5. Bangladesh ABA Centre For Autism
Special education school
House-76, Road-17, Sector-11, Uttara, Dhaka 1230
Phone: +880 1760-207677
_______________________________________________
উৎস ও তথ্যসুত্রঃ
রিসার্চ ইন ইন্টারনেট,সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন,কালের কণ্ঠ ২০ নভেম্বর, ২০১৬ । যুগান্তর ৭ জানুয়ারি ২০১৮ । বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ২৩ এপ্রিল, ২০১৭।
____________________________________________
��লেখক পরিচিতিঃ
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনে “এডুকেশনাল এসোসিয়েট” পদে প্রায় ৯ বছর কর্মরত ছিলাম।
বর্তমানে যুক্তরাস্ট্র সরকারের সিভিল সার্ভিস এর অধীন ল’ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিতে প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট টু পদে কর্মরত আছি।
শিক্ষাঃ
এস এস সি – এ রব হাই স্কুল, ভোলা ১৯৯১
এইচ এস সি -সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ বরিশাল ১৯৯৩
বি, কম (অনার্স) এম, কম ( একাউন্টিং)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-১৯৯৮
ডিপ্লোমা ইন ইয়ুথ ইন ডেভেলপমেন্ট (বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটি এন্ড হাডারসফিল্ড ইউনিভার্সিটি , ইউকে, ) কমনওয়েলথ ইয়ুথ প্রোগ্রাম ২০০১
ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন (ইউ,এস,এ)
ফিরে দেখাঃ জন্ম ভোলা জেলার নতুন বাজার সি এন্ড বি স্টাফ কোয়াটার এ । শৈশব এ বেড়ে ওঠা ভোলাতে । অতঃপর পিতার কর্মস্থল মানিকগঞ্জে বদলী হওয়ার কারনে শৈশব আর কৈশোরের ডানপিঠে
দুরন্তপনার সময়গুলো সেখানেই কাটানো এবং বড় হয়ে ওঠা । পরে পড়াশুনা আর চাকুরীর সুবাদে ঘুরে বেড়ানো দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ।
জীবনের স্বপ্নঃআলোকিত মানুষ হওয়া ।
শখঃ ছবি তোলা ,দেশ ভ্রমণ, ভলিবল খেলা, গান শুনা , লং ড্রাইভ এখন ফেস বুকিং ।
দেশ ভ্রমনঃ নেপাল, হংকং , দুবাই, কুয়েত, কাতার, লন্ডন,কানাডা, আমেরিকা ।
বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটিতে স্থায়ী বসবাসরত ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।