প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ ৩ সেপ্টেম্বর ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট নজরুল হক অনু ও সাধারণ সম্পাদক সামস-উল-আলম মিঠু পরিষদের সদস্যরা ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মতবিনিময় করে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণ বিজ্ঞপ্তি দেয় সাধারণ সদস্য কর্তৃক ধিকৃত একটি অশুভ চক্র।
ঐ চক্রের হোতাদের অন্যতম অমিতাভ অপু এবং জুন্নু রায়হান জানান, তারা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং অনু-মিঠু পরিষদের সমর্থকরা ভবঘুরে, বিভিন্ন মামলার আসামী এবং অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট নজরুল হক অনু ও সাধারণ সম্পাদক সামস্-উল-আলম মিঠু যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
যারা গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যদের সম্পর্কে কিছু বলার আগে নিজেদের দিকে একটু তাকাতে। যাদের নিয়ে ঐ অশুভ চক্র কাজ করছেন তাদের মধ্যে কতজন সাবেক জামায়াত, শিবির ও বিএনপি থেকে এসে হাইব্রীড আওয়ামীলীগ সেজে তাবেদারী সাংবাদিকতা করে গাড়ী, বাড়ী করেছেন। সরকারী সম্পত্তি আত্মসাত করে সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। একটু হিসাব দেবেন আপনাদের মধ্যকার কতজন প্রকৃত সাংবাদিক ? কতজন কতবার মামলার জেল খেটেছেন। তাদের নেতা বিয়ে করার সময় তজুমদ্দিন থেকে ইলিশ মাছ এনে দাম দেননি। ফেরী আন্দোলনের নামে কত টাকা চাঁদা নিয়েছেন। যদি তাদের এমন কু-কীর্তি আমরা তুলে ধরি তাহলে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবেন তো ?
এছাড়া তারা যে নির্বাচিত কমিটি বলে দাবী করেছেন তারা দয়া করে একটু বলবেন কি কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কত ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শপথ পড়ালেই কি কমিটি বৈধ হয়ে যায় ?
নজরুল হক অনু ও সামছুল আলম মিঠু’র নেতৃত্বাধীন কমিটি ঘোষিত হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর ২০২২। আর আপনারা তথা কথিত যে কমিটি করেছেন তার ঘোষণা এসেছে ৭দিন পর ? তাছাড়া সুপ্রিয় কোর্ট থেকে যে রায় এসেছে ১৪/০১/২০১৫ইং তারিখে তা বাস্তবায়ন না করে নিজেদের নির্বাচিত দাবী করা যে বে-আইনী সেদিকে খেয়াল আছে কি ? আদালতের রায় উপেক্ষা করে নিজেদের নির্বাচিত দাবী করা কি আদালত অবমাননা নয় কি ? যে কারণে আমরা নির্বাচিত কমিটি করিনি। সদস্যদের সমর্থনে কমিটি করেছি। আমরা যদি কোন অপরাধ করি তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না করে আদালতে গিয়ে আইনের আশ্রয় নিন। অযথা কাঁদা ছোড়া-ছুড়ি বন্ধ করুন। আর যদি তা করেন তাহলে নিজেরা শুদ্ধ হয়ে পরিবর্তীতে ব্যবস্থা নিন। অহেতুক পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। তারা আপনাদের চেয়ে কোন ভাবেই কম বোঝেন না। পরে দেখবেন ছেড়ে দে মা কেঁদে মরি অথবা ভিক্ষা লাগবে না কুকুর সামলানোর মতো পরিস্থিতি যেন না হয়। এখনও সময় আছে সঠিক পথে ফিরে আসুন।

এডভোকেট নজরুল হক অনু
সভাপতি
ভোলা জেলা প্রেসক্লাব, ভোলা।

তারিখ : ০৫/০৯/২০২৩ইং।