সর্বশেষঃ

মধ্যরাত : পর্ব-১৩৪

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন), 

(গত পর্বের পর) : কিছুক্ষণের মধ্যে সুশান্তর বাসায় আমরা এসে পৌছে গেলাম। দোলা পাহাড়ী ঝর্ণার মত তর তর করে নেমে গেল। আমি আস্তে ধীরে চারদিকে লক্ষ করে নামলাম। সুশান্ত উমা গাড়ী থেকে সব জিনিসগুলি একটু একটু করে নামিয়ে নিয়ে গেল। উমা সব জিনিসপত্র গোছ গাছ করে ¯œান করতে গেল। দোলা এসে বলল, দাদু তুমি কিছু খাবে ? আমি বললাম, চা দে। সুশান্ত বলল, দোলা আমাকেও চা দেবে। দোলার হাতের চা খুব ভালো আমি জানিনা ও চা কিভাবে করে যেন অমৃত।
উমা ¯œান সেরে এসে বলল, প্রশান্ত বাবু আপনি কি খাবেন ? আমি বললাম ভাত, আলুর ভর্তা, মুগের ডাল। সুশান্ত শুনে বলল, ভেতো বাঙ্গালী। সুশান্ত বলল, উমা রাত্রে লুচি মাংস করো আর আলুর দম। আর চাটনী। উমা বলল, এই এলাম। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে, তোমার লুচি খাওয়ার সখ হল ? সুশান্ত বলল, বাহ আর আমি যেই সারা পথ ড্রাইভ করে এলাম আর একটু ভাল খাবার করে খাওয়াতে পারবে না ? উমা হেসে ফেলল নিশ্চয়, নিশ্চয়, হাাজর বার পরব ? তোমার সাথে রগড় করলাম।
সুশান্ত দোলা আমি আমরা ৩ জনের গল্প জুড়ে দিলাম। আমি বললাম, সুশান্ত কচকে ফোন কর। তখনই সুশান্ত কচকে ফোন করল। কচ বাসায় ছিলনা, কচ এর দাদা বৌদি তাড়াতাড়ি করে ছুটে আসল, আমাকে দেখার জন্য। আমি বললাম, দাদা নমস্কার কেমন আছেন ? দাদা বলল, ভাল খুব ভাল। আপনার শরীর এখন কেমন ? কচ সারাদিনই আপনার কথা বলত, তাও এখন বাইরে গেছে। সন্ধ্যার মধ্যে এসে পরবে। আসলে পাঠিয়ে দেব। আমি বললাম, ও ভাল আছেত ? দাদা বললেন, হ্যাঁ ও ভাল আছে। আপনার কথা খুব বলে দাদা আরও বললেন, আপনি নাকি ওর বাজনা খুব পছন্দ করেন। কচের দাদা বলল, জান দাদা প্রশান্ত দাদু আমাকে আসতে দিতে চাননা। আমি বললাম, আমার যখন খুব বেশী জ্বর চলছিল। তখন ওর কথা আমার খুব মনে পরত, খালি মনে মধ্য রাতে কোন অজানা সুদুর হাতে কচের বেহালার সুর আমার কানে প্রবেশ করত। আমি আজ আকাশের মত একলা।
দাদা বললেন, আপনার এই এলেন। এখনই আবার উমাদি কিচেনে ঢুকছেন রান্না করার জন্য। আমরা যদি খাবার করে পাঠিয়ে দেই, আপনাদের আপত্তি আছে ? আমি বললাম, আমিও ওদের গেষ্ট। তা আপনি সুশান্তকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। দাদা সুশান্তকে জিজ্ঞাসা করলেন। সুশান্ত বলল, না থাক উমা এখন সব করে ফেলবে। দাদা বললেন, আপনারা আমাকে আজ আসার ডেটটা জানালেই আমরা সব গোছ গাছ করে রাখতাম। আমি বললাম, আর একদিন খাব। আপনার আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ। দাদা অনেকক্ষণ বসে গল্প করলেন। হঠাৎ বললেন, দেবযানীকে দেখছিনা যে। আমি চমকে উঠে হেসে ফেললাম– দোলা ? দাদা বললেন, আমিত কচের বৌদি ওকে দেবযানী নাম দিয়েছিল। আপনার মনে নেই, আমার কিন্তু বেশ মনে আছে।

(চলবে——)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।