মধ্যরাত : পর্ব-২৫৪

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : ভোর হলো হেমন্ত খুব ভোরে উঠে ওর মাকে চিঠি লিখতে বসল। আওে এত সকালেই মাকে চিঠি লিখতে বসেছ ? চা নাশতা খাও তারপর লেখ। ও আমার দিকে এক নজর চেয়ে আবার লেখা শুরু করে দিল। আমি উমাকে বললাম, ওর দিকে খেয়াল রেখো, যেরকম মা ভক্ত ছেলে, উমা একটু হাসল। আমার বাইরে কাজ ছিল, আমি একটু তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পরলাম। মন্ট্রিলে থেকে একটু দুরেই শ্যামবেলী গেলাম, রুসলী হয়ে বাসে উঠে ভার্সিটিতে এসে পৌছে গেলাম। ক্লাশে ঢুকতে আমার কয়েক মিনিট দেরী হয়েছিল। সেদিন বেশ কিছুক্ষণ ক্লাশ নিলাম। কমনরুমে বসলাম, নানা কথার ঝড় উঠল। নানা রকম জল্পনা-কল্পনা অমিয় বলল, গত বড় দিনেত আমরা ডিজনী, ফ্লোরিডা, ডেটোনা, মায়ামী করেছি, এবার মন্ট্রিলেই চোখ বুজে বসে থাকতে হবে। আমি চুপ করে বসে ওদের কথা শুনছিলাম। দেবতোষ বলল, কি প্রশান্ত বাবু যাচ্ছেন নাকি কোথাও ? আমি বললাম, না ভাই; নাতনী আসছে বাচ্চা হতে ? আমি এখন কি আর বেরুতে পারি। ওরা আর কিছু বলল না। বিজন এক কোনায় চুপ করে নিউজ পেপারটায় চোখ বুলাচ্ছিল। অলক এক কোনায় বসে সকলের কথা বার্তা শুনছিল। আমি আমার বাড়ী ফেরার জন্য পা বাড়ালাম।
রাস্তায় এসে বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। সে এক বিরাট লাইন। কত ধর্মের বিচিত্র বেশ ভূষার লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেউ কাগজ পড়ছে। আর আবার কেউ গল্পের বই পড়ছে। কেউবা বাসের জন্য তার পখের জন্য নির্নিমেষ নয়নে তাকিয়ে আছে। আমিও ধৈর্য্য ধরে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস এসে গেল। একটা এল লোকে লোকারন্য দাঁড়াবার জায়গা পর্যন্ত নেই, সাধারণতঃ সকাল আর বিকেল এ সময় দুটু বাস ঠাসা ছাত্র-ছাত্রী থাকে। আজও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। আমি অতি কষ্টে উঠে বাসের এক কোনে বাসের উপরের হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। বাস অটোপার্কে এসে আবার বদল হল। আমি একপাশ দিয়ে নেমে আবার একটা বাসের জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। আধঘণ্টা পরেই আর একটা বাস এ উঠে বাড়ীর পাথে পাড়ি জমালাম। বাস আমার বাড়ীর কাছেই আমাকে নামিয়ে দিল।

(চলবে——-)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।