সর্বশেষঃ

মনপুরায় বিয়ের প্রলোভনে বছরে পর বছর এক তরণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ভোলার মনপুরায় এক তরণীকে বিয়ের প্রলোভনে বছরের পর বছর ধর্ষণের অভিযোগ মনপুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এপিপি এ্যাডভোকেট আলউিদ্দিন হাওলাদারের পুত্র জিপু হাওলাদারের বিরুদ্ধে। পরে ওই তরুণী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা করে। কিন্তু মামলা দেওয়ার সময় ফের বিয়েতে রাজী হয়ে ছলনা করে ঢাকায় পালিয়ে যায় প্রধান আসামী জিপু হাওলাদার। এদিকে মনপুরা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জিপু হাওলাদারকে আটক করে সোমবার সন্ধ্যায় মনপুরা থানায় নিয়ে আসে বলে নিশ্চিত করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশের এস.আই লুৎফুর রহমান। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আটককৃত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জিপু হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে অপর আসামী রুবেল হাওলাদারকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও মনপুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এপিপি আলাউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র জিপু হাওলাদার ও অপর ছেলে রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে তাৎক্ষনিক ওই ধর্ষক বিয়েতে রাজী হয়। পরে ওই তরুণী স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশন না করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিয়ের ছলনায় ঢাকায় পালিয়ে যায় ধর্ষক জিপু হাওলাদার। এমনকি মামলা তুলে নিতে শাররীক সর্ম্পকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। একপর্যায়ে শাররীক সর্ম্পকের ভিডিও ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পর ভাইরাল হলে, পরে আবার সেই ভিডিও মুছে দেয় জিপু হাওলাদার। এদিকে জিপু হাওলাদার বিয়ে না করলে আতœহত্যা করবেন বলে এই রকম একটি ভিডিও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিজেই দেন ওই তরুণী।

ওই তরুণী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬-৭ বছর ধরে জিপু হাওলাদারের সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সর্ম্পক। এর মধ্যে একাধিকবার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে জিপু হাওলাদার। এর মধ্যে বিয়ের চাপ দিলে ধর্ষকের বড় ভাই রুবেল হাওলাদার মুঠোফোনে ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পারিবারিকভাবে কথা বলার জন্য বললে বিভিন্ন তালবাহানা করে জিপু হাওলাদার। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে বলে ফের শাররীক সর্ম্পক করে জীপু হাওলাদার। পরে বিয়ের ব্যাপারে তালবাহানা করে জীপু হাওলাদারকে ঢাকায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করে জীপু হাওলাদারের বড় ভাই রুবেল হাওলাদার। পরে ১৮ আগস্ট মনপুরা থানায় এসে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে জিপু হাওলাদার ও ধর্ষণের সহযোগিতায় বড় ভাই রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ওই তরুণী। পরে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেয়।
ওই তরুণী আরও জানান, থানায় মামলা করতে গেলে জীপু হাওলাদার মুঠোফোনে মামলা করতে বারণ করে। এমনকি বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারে একাধিকবার বৈঠক হয়। কিন্তু বিয়ের নামে ছলনা করে জিপু হাওলাদারকে ঢাকায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করে বড় ভাই রুবেল হাওলাদার।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, মনপুরা থানার পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে জীপু হাওলাদারকে আটক করে সোমবার সন্ধ্যায় নিয়ে আসে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।