সর্বশেষঃ

লালমোহনে শালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে ইউপি সদস্য ও তার ভাইদের উপর হামলার অভিযোগ

ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল কে একটি শালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে তাকেসহ তার ভাইদের উপর হামলা ও বসতঘরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড বুইল্যাওয়ালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল (৪২), তার ছোট ভাই সোহরাব মাল (৩৮) ও সোহাগ মাল (৩২) আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত সোহাগ মাল লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ছোট ভাই সোহরাব মাল বাদি হয়ে লালমোহন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও পরে নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল।
অভিযোগ ও ইউপি সদস্যের দেয়া বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় ৫বছর আগে লালমোহন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহেব আলীর ছেলে হেলালের কাছ থেকে ৮শতাংশ জমি ক্রয় করেন ইউপি সদস্য মো. ফারুক মালের ছোট ভাই সোহাগ মাল। জমির দলিল বুঝিয়ে না দিলেও জমি বুঝিয়ে দেয় হেলাল। পরে ওই জমিতে বসতঘর তুলে সেখানে দীর্ঘ ৪/৫বছর যাবত পরিবারসহ বসত করছেন সোহাগ।
ইতোমধ্যে ওই জমি দখলের পায়তারা চালায় হেলাল গংরা। এনিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সোহাগের বাড়ির উঠোনে শালিস বৈঠক হয়। পরে মাগরিবের নামাজের বিরতি দিয়ে শালিসগণ নামাজে গেলে এসময় হেলালের বড় ভাই শাহাবুদ্দিনের নের্তৃত্বে শাহিন, নয়ন, হেলাল, বেলাল, সামসুদ্দিন ও শামিমসহ আরও কয়েকজনে মিলে ইউপি সদস্যসহ তার ভাইদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় সোহাগ মালের বসতঘরেও ভাঙচুর চালায় এবং ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও মহিলাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
বুধবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এ ঘটনার চিত্র তুলে ধরে ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল সাংবাদিকদের জানান, পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনের সাথে পূর্বে একটি বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে শালিস বৈঠকে ডেকে নিয়ে মেয়রের লোকজন দিয়ে ইউপি সদসের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।