সদর উপজেলার শিয়ালী ও ফকির গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারে কয়েক বছর যাবৎ আতঙ্কিত রাজাপুর ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। গত ৬ মাস পূর্বের এই দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার প্রকাশে রুপ নিলে হামলা, ভাংচুর, মামলা অবশেষে দুই গ্রুপ লিডারদের আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপ কয়েক মাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বৃহস্পতিবার সকালে দোকানঘর উত্তোলন নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। সংঘর্ষে শিয়ালী গ্রুপের বৃদ্ধা নারীসহ ৬জন আহত হয়েছে।
আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ফকির গ্রুপের হারুন ফকির, নিরব ফকির, রনি ফকিরসহ ৪ জন কে আটক করেছে।
আহতরা হলেন রহিম শিয়ালীর ছেলে হানিফ শিয়ালী, আলী আকবার শিয়ালী, মজিদ শিয়ালী শিয়ালীর ছেলে আলী শিয়ালী লতিফের স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। সামিম শিয়ালীর স্ত্রী রুবিনা ও ফয়সাল বেপারী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ও স্থানীয়রা জানান, একটি পুরানো দোকানঘর মেরামত নিয়ে দুইগ্রুপের কথা কাটাকাটি হলে হঠাৎ রাজাপুর আলী আকবার খাঁর নেতৃত্বে কবির মঞ্জুর, বিএনপির নেতা হারুন ফকির, নাজিম ফকিরসহ ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায় শিয়ালী গ্রুপের উপর এতে শিয়ালী গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছে তবে ফকির গ্রুপের একজন আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে তারা।
এই বিষয়ে আলী আকবার খাঁর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪ জন কে আটক করা হয়েছে।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং মামলার প্রস্ততি চলছে।
