আট আনার মানুষ

আট আনার মানুষ

রাসেল উদ্দিন

আমাকে যে ছেড়ে গেছে—আমার যাবতীয় চাওয়া পাওয়া… তীব্র ভালোবাসাকে উপেক্ষা করেই গেছে। নির্দিষ্ট পরিমানে ভালোবাসার কোন নিয়ম থাকলে আমি বুঝতে পারতাম—ঠিক কতটা অযোগ্যতা ছিলো। তামাম দুনিয়ার কোন মানুষইতো নিখুঁত প্রেমিক নয়; আমি আঁট আনার মানুষ, ষোলআনা যত্ন মেখে রেখে দিতে পারিনি।

আমাকে ছেড়ে যাওয়ার খুঁচরো কারণ জানতে পেরেছি ইনবক্সে জমে থাকা বাংলা অভিধানের কলিজা পুড়িয়ে দেওয়া কিছু শব্দের হামলায়। মানুষ দোষগুণ মেনে নিয়ে ভালোবেসে একটা সময় রাস্তারলোকের মত মুখ ফিরিয়ে নেয়; কথা পেচিয়ে আহত করার চেষ্টা করে মমতায় ভাটা পড়লে।

আমি কখনো তাকে অভিযোগে অভিযুক্ত করিনি; যারে ভাঙার সুযোগ দিয়েছি সে ভেঙে যাবেই… যারে অধিকার তুলে দিয়েছি সে প্রত্যাক্ষান করবেই; যার কাছে ব্যক্তিত্ব হারিয়েছি সে ব্যক্তিত্ব টেনে দু’চারটি কথা শোনাবেই।

তবে ছেড়ে যাবে বলে মানুষকে পাষাণের অভিনয় করতে হবে কেনো? মধ্যরাতের নিশ্চুপ আলাপনের ভীড়েওতো কত শক্ত-পোক্ত সম্পর্কের মৃত্যুদন্ড হয়। আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ। অসামাজিক কিংবা অ-যত্নশীল বলেও যেতো পারতো… অ-প্রেমিক বানিয়ে চলে গেছে।

আহত মনে দামামা লাগিয়ে নির্মমভাবে চলে যাওয়ার একটাই কারণ আবিষ্কার করেছি পরিণত হয়ে… মোহ আর মুগ্ধতা হারিয়ে গেলে সম্পর্কে পচন ধরে। শরীরের পচন ঠেকানোর মলম আছে, মন পচনের মলম পুরো পৃথিবী তন্নতন্ন করে খুঁজেও মিলবে না।

চলে যাওয়ার জন্য আসা যাত্রীকে ভালোবাসায় বেঁধে রাখার সাধ্য কারও নেই। আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।