সর্বশেষঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধ ॥ স্মৃতিময়-৭১ : পর্ব-৩

মাহাবুবুল আলম নিরব মোল্লা

(গত সংখ্যার পর) তোফায়েল ভাই মুজিব বাহিনীর ৪ সর্বাধিনায়কের একজন। তিনি দক্ষিন বাংলার দায়িত্বে। তিনি ওখান থেকেই ক্যালকাটায় যোগাযোগ করে আমাদের তারকাছে নীয়ে যাওয়ার জন্য তিনজন লোক পাঠান। হেমায়েত ভাই যখন মুজিব বাহিনীতে যান তখন, আমাদের টাকিতে দেখে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে আমরা টাকি থেকে পিপায় এসে পডেছি। যাদের পাঠানো হলো তারা আমাদের টাকিতে খুঁজে না পেয়ে পিপায় আসেন। আমরা মধ্যাহ্নের ট্রেনিং শেষে পলিটিকাল ক্লাসে বক্তৃতা শুনছিলাম, বক্তব্য দিচ্ছিলেন আ স ম ফিরুজ ভাই তিনি তখন ভিপি ফিরুজ নামে পরিচিত বরিশালে, পরবর্তিকালে অনেকবার সংসদ সদস্য এবং সংসদের চীফ হুইফের দায়িত্বেও ছিলেন। এ সময় ঐ তিন আগন্তুক মাঠে উপস্থিত হোন। ফিরুজ ভাই তাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন মনছুরুল আলম মন্টু, বরিশাল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি, পটুয়াখালী ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মোশারেফ ভাই ও মাদারীপুরের এমপি আচমতআলী সিকদারের ভাগ্নে ছাত্রলীগ নেতা সম্ভবত জালাল ভাই। মোশারেফ ভাই ও মন্টু ভাই বক্তব্যদেন এরপর উনি জিঙ্গেস করেন এখানে নীরব-বাহালুল নামে কেউ আছো কিনা ?
আমরা ভয়ে চুপচাপ। সঙ্গের নিজাম বলেন কলিকাতা থেকে নেতারা আইছ্ দাডাইয়া কও। অবশেষে দাঁড়াই, বলি আমরাই নীরব আর বাহালুল। ওনাদের কাছে ডাকেন। গেলে পরিচয় দেন মন্টু ভাই তিনি বরিশালের ইউনুছ উকিলের ছেলে, সম্পর্কে আমাদের মামা। ইউনুছ উকিল ভোলা মহকুমা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি হিসেবেও একবার দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বরিশালের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি। বামপন্থী পরবর্তিকালে ডানপন্থি নেতা কাজি জাফর সাহেবের শ্বশুর (এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী) পরিচয় পেয়ে আশ্বস্ত হলাম। তাহলে আপনি আমার মামা হন। তিনি বলেন আমাদের নেতা তোফায়েল ভাই (তোফায়েল আহমেদ) পাঠিয়েছেন তোমাদের নেওয়ার জন্য। তোমরা আমাদের সাথে কলিকাতা চল। আমরা সানন্দে রাজিহই। তোফায়েল ভাই ডাকসাইটে জাতীয় নেতা এবং উনসত্তর গন অভূত্থানের মহানায়ক হিসাবে ক্ষ্যাতি অর্জন করেছেন সল্প সময়ের মধ্যেই। পরে স্বাধীনতার পরে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং অনেকবার মন্ত্রির দায়িত্ব পালন করেন। আমরা দুপুরের খাওয়ার সময় ওনাদের বুদ্ধিমত একটা ভ্যানে করে বনগাঁ রেলস্টেশন চলেযাই। দুইটার ট্রেনে আমরা বৃটিশদের অবিভক্ত বাংলার রাজধানী কলিকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রাশুরুকরি।
সেই প্রথম ট্রেন যাত্রা, আমরা দক্ষিন অন্চলের লোক নদী পথই আমাদের যাতায়াত। এখন পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা, ও ঢাকায় বাবা/কাকাদের সাথে তিনবার গিয়েছি, একারা তাও আবার এরকম ভয়াবহ অবস্থায় দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্যদেশে, ট্রেনের জানালায় নূতন দেশ দেখছি ভাবছি আরকি দেশে যেতে পারব ?
রাত ১০টায় আমরা শিয়ালদাহ ষ্টেশনে পৌছি। এখানে নামতে হবে, এটাই সেই বিখ্যাত কলিকাতা। আমাদের বাবা কাকারা ব্যবসায়িক কাজে বহুবার এসেছেন যখন আমাদের দেশটা একছিল। এখন এটা অন্যদেশ। রাস্তা ঘাট ফাঁকা দোকানপাট বন্ধ, গাড়ী বা কোন বাহনের ব্যবস্থাও করা গেলনা, কেমন থমথমে পরিবেশ অনেকটা যেন একটা ঘুমন্ত নগরী, ভৌতিক নীরবতা যাক অগত্যা হাঁটা পথ চল যাই।
হাঁটছি চুপচাপ মাঝে মাঝে দুই একজন পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে আর হাঁক দিচ্ছে কৌনহ্যায়, আমরা জয় বাংলার লোক, ভবানীপুর যাব, কোথাথেকে এতরাতে- বনগাঁও থেকে ট্রেনে এসেছি বললেন মন্টু মামা। আচ্ছা যাও, সাবধানে।রাত অবশেষে ১১টায় ভবানিপুর নর্দান পার্কের পাশের সানি ভিলা নামে এতটা চারতলা বিশাল ভবনে গিয়ে পৌঁছলাম। এখানেই তোফায়েল ভাই এবং মুজিব বাহিনীর রাজ্জাক ভাই, সিরাজুল আলম খান সহ অনেক নেতারা থাকেন।
প্রথমেই দেখা ভোলার দৌলতখানের এম সিয়ে (এমপি) নজরুল ভাইর সাথে কিছু সময়ের পর বরশতউল্যা চৌধুরী (শাহাজাদ) কাকার সাথে। ওনারা আমাদের উপরে ওনাদের রুমে নিয়ে গেলেন। বললেন হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেসহও তারপর খেতে চল। কিন্তু তোফায়েল ভাই কৈ, জানলাম তিনি দেরাদুন গিয়েছেন যেখানে মুজিব বাহিনীর ট্রেনিং হয়। এই রুমে রাজ্জাক ভাই সিরাজ ভাই আমুভাইও থাকেন। খাওয়ার পর ক্লান্ত অবষন্ন শরীরে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখলাম এক ধুতি পান্জাবীপরা লোক দরাজ গলায় বরশতউল্যা কাকার সাথে কথা বলছেন, আমরা উঠলে চৌধুরী কাকা পরিচয় করিয়ে দিলেন। অজিত কুমার রায় ওনার বাবার নাম রাধাবল্লভ রায়, তিনি একসময় ভোলার খুব প্রভাবশালী হিন্দু ধন্যাড্য মানুষ ছিলেন। দেশ বিভাগের আগেই কলিকাতায় ওনাদের বাড়িছিল, ভারত বিভাগ হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মহলে ওনারা চুড়ান্ত ভাবে কলিকাতায় স্থায়ীহন।
অজিত কাকু বলেন তোদের বাবা, কাকারা আমাদের পরিবারের সদস্যের মতছিল। আমার বাবাকে সবাই মামা ডাকত আরও অনেক স্মৃতি কথা উনি বলেন, বলেন দেশ ভাগের পূর্বে হিন্দু মুসলীম ভয়াবহ দাঙ্গার সময় বড় ভাই ছোলাইমান মোল্লাহ কলিকাতায় ব্যবসায়িক কাজে এসে আটকে যান শুনে বাবা ওনাকে বাসায় নিয়ে আসেন, এলাকার লোকরা ক্ষুদ্ধহয়ে বাসা ঘেরাও করেন কিন্তু আমার বাবা বলেন সে আমার ভাগ্নে তাকে কিছু করতেহলে আগে আমাকে মারতে হবে, পরে পরিস্থিতি শান্তহলে ওনাকে আমরা বর্ডার পর্যন্ত পৌছেদেই। অজিত কাকু সিপিএমের রাজনিতির সাথযুক্ত, এবং পশ্চিমবঙ্গ কোপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ বাস ট্রাক মালিক সমিতিরও সভাপতি ছিলেন। আমাদের নীয়ে উনি রাস্তার ওপারে একটা ভাল হোটেলে নাস্তা করান এবং কিছু হাত খরচের টাকাও দেন। যতদিন ছিলাম এটা অব্যাহত ছিল। এছাড়াও ওনার গাড়ী দেন আমাদের কলিকাতা ঘুরে দেখারজন্য সাথে ওনার ম্যানেজার ভোলার চন্চল কুন্ড স্যার নামে খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর ছোটভাই তিনুদাকে আমাদের সাথেদেন। আমদের ঘুরাফিরা শেষে তিনুদা আমাদের থিয়েটার রোডে আজিত কাকার বাড়ী নিয়েযান ওনার মা তখনো জীবিত ছিল যথেষ্ট বয়েস, আমাদের ধরে আদর করলেন আমাদের সকলের কথা স্বরন করলেন। শেষে দুপুড়ের খাওয়া দাওয়া করে ভবানিপুর ফিরলাম।
বিকালে পরিচয় রায়হান ফেরদাউস মধু ভাইর সাথে। ছোটখাট প্রানবন্ত টগবগে একজন আন্তরিক মানুষ। মধুভাই সিরাজুল আলম খান সাহেবের একান্ত ভক্ত ওনার সাথে আরও ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সানি ভাই। পরে দেখলাম এইবাসা চিত্তরঞ্জন সুতার এমপির হলেও এটা মুজিব বাহিনীর প্রধান কেন্দ্রহিসাবেই ব্যবহার হচ্ছে। কিছুদিন হাসনাত ভাইও ছিলেন, মনিভাই প্রতিদিনই আসতেন কারন এই বাসার নিচতলার একটা রুম জয় বাংলা নামে একটা পত্রিকার অফিস হিসেবে ব্যবহার হতো। মনিভাই পত্রিকার দেখভাল করতেন। মেজর জলিল বরিশালের মোস্তফা ভাই খুলনার শ্রমিক নেতা নজরুলভাই, বঙ্গবন্ধুর বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন ভাই, নুরে আলম সিদ্দিকি, সাজাহান সিরাজ সহ অনেকেই আসা যাওয়া করতেন। এগুলো পরে দেখেছি জেনেছি।
রাত আটটায় বাসার নীচতলায় রুমে আমি বাহালুল বসে বসে কথা বলছিলাম তোফায়েল ভাই কবে আসবেন কে জানে ? আমরা কি করব কিছুই বুজতে পারছিনা। রাত ৯ টায় একটা গাড়ী বাসার গেইটে দাঁড়াবার শব্দ পেলাম, পরক্ষনেই শুনতে পেলাম জয়রাজ বলে একটা হাক, গলাটা তোফায়েল ভাইর। ওনার গলার আলাদা একটা বৈশিষ্ট দূরথেকে শুনেই বলাযায় যে এটা তোফায়েল আহমেদের গলা। উনি রুমে ডুকতেই আমরা উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম। আমাদের জামা কাপড় ময়লা বিবর্ন হয়ে গেছে। খুব সংকোচে তাকালাম। উনি আমাদের চারদিকে একটা চক্কর দিলেন বল্লেন, তোরা যুদ্ধ করার জন্য এসেছিস ? ওনার চোখে স্নেহ মাখা কৌতুক খেলছিল। বসলেন আমাদের কথা শুনলেন তারপর বলেন তোদের কাপর চোপড় কৈ, বল্লাম এক কাপড়ে এসেছি।

অতিরিক্ত যে দুটা পোষাকছিল তা কেম্পে রেখে আসতে হয়েছে, কারণ এগুলি নীতে গেলে আর ক্যাম্প থেকে বেরনো যেত না। আর জুতা তো বর্ডার পাড়ি দেওয়ার সময়ই ফেলে আসতে হয়েছে। অতএব তিনি শাহাজাদ কাকাকে (বরশতউল্যা চৌধুরী ওনাকে আমরা কাকা ডাকতাম ছোট বেলা থেকেই) বল্লেন আমাদের আগামীকাল পোষাক ও জুতা কিনে দেওয়ার জন্য। পরদিন কাকা আমাদের নিয়ে ক্যালকাটা নিউমার্কেট গেলেন, জুতা জামা ও পেন্ট কেনা হলো। বরশতউল্যা চৌধুরী মুক্তিযাদ্ধ শুরুর সাথে সাথেই ভারতে চলে আসেন। উনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন বড় মাপের ঠিকাদার ছিলেন, সাতক্ষিরায় তার বড় কোন কাজ চলছিল, সেই কাজের বিল পেয়ে উনি ওনার উইলী জিপ নিয়ে ড্রাইভার মোনায়েম সহ বর্ডার পাড় হয়ে চলে আসেন। শুনেছি যে উনি ওনার আনা সেই টাকা দেশের স্বাধীনতা আর মুক্তিরজন্য উৎসর্গ করেন। তার গাড়ীটিও মুজিব বাহিনীর কাজেই ব্যবহার হতো। ওনাদের দেশর বাড়ী ভোলার মনপুরায় দ্বীপ।
বরিশাল শহরে ওনার পরিবার নিয়ে নিয়ে বসবাস করলেও উনি প্রায়শই ভোলায় আসতেন, ভোলায় ওনার বাসাটা আমাদের বাড়ীর সামনেই যে বাসায় সত্তুরের ভয়াবহ জলোশ্যাসেরপর বঙ্গবন্ধু এসে কয়েকদিন ছিলেন এবং তোফায়েল ভাই সত্তুরের নির্বচন কালিন সময়ে ঐ বাসায় থেকেই নির্বচন করেছিলেন। আমরা ফিরে এলাম বাসায়। একদিন পর আমাদের বড় ভাই ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা দেশে ঢুকবার আগে একবার আমাদের দেখতে আসেন এক দিনের জন্য। সে এক আবেগঘন দৃশ্য। বাবুল ভাই ভোলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছন। তার সাথে ভোলার আরও লোক আছে, তাদের নিয়ে তিনি এখান থেকে দেরাদুন গিয়েই ভোলার উদ্দশ্যে রওয়ানা হবেন। আসার পথে ওনারা ছিলেন বাঙ্গালী পাবলিক এখন যোদ্ধা হাতিয়ারসহ। শত্রুর চোখ ফাকি দিয়ে কি করে ভোলায় যাবেন কে জানে ? আল্লাহ ওনাদের সকলের সহায় হোন। বাবুল ভাই সকালে চলে গেল এলো ব্রাহ্মবাড়িয়ার রবিউল আলম চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়ে এলেন চিকিৎসার জন্য, তিনি পাকিস্তানি আর্মিদের এ্যাম্বুসে মারাত্বক আহত ছিলেন (এখন এমপি)। তার একটা পা গুলিতে ঝাজরা হয়ে গিয়েছিল। আমরা দুই ভাই তাকে এবং পরে আরও কজন আহত নেতৃবৃন্দের সেবা করতে থাকি। এরই মধ্যে খুলনা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার কামরুজ্জামান টুকু ভাই তার সঙ্গী আহত সামছুল আলম হীরা ভাইকে নিয়ে উপস্থিত হন।
হীরা ভাই সুস্থ্য হলে ওনাদের বলি আমরা আপনাদের সাথে দেশের ভেতরে যেতে চাই। তিনি টুকু ভাইকে বলেন আমাদের কথা, কিন্তু টুকু ভাই রাজি নন। তিনি বলেন, তোমরা ছোট এখানেই কাজ কর। তোফায়েল ভাই শুনলে আমাদের রাগ করবে, ওনারা জানতেন তোফায়েল ভাইয়ের ছোট ভাই আমরা, সে জন্য সকলেই আমাদের স্নেহ করতেন, সহানুভূতির চোখে দেখতেন। আমরা টুকু ভাইদের লক্ষ্য রাখ ছিলাম, পরদিন সকালে ওনারা যশোরের খালিদ হাসান টিটু ভাইরা সহ বাংলাদেশর পথে বাসা থেকে বের হন। আমরা তাদের অনুসরন করে যে রেলে ওনার উঠেন আমরাও অন্য বগিতে গিয়ে উঠি। ট্রেন কিছুদুর চলে এলে আমরা ওনাদের খুঁজে নেই। ওনি রাগ হন, তারপর আমাদের সিরিয়াসনেস দেখে বলেন ঠিক আছে আল্লাহ ভসা চল। আবারও পলায়ন এবং অবশেষে দেশের মাটিতে ফেরা, নভেম্বর মাসের শেষ প্রায়।
যশোর একদিন কাটিয়ে চারদিকের খোঁজ খবর নিয়ে খুলনার পথে, ইতিমধ্যে শীরোমনির ভয়াবহ টেঙ্কযুদ্ধে মুক্তিযাদ্ধারা বিজয় লাভ করে। পর্যুদস্ত পাকিস্তানীরা তখন খুলনায় জড়ো হয়। টুকু ভাইর নেতৃত্বে আমরাও ধিরে ধিরে খুলনার উপকন্ঠে হাজির। ঐ দিকে মেজর জলিলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীও জড়ো হয়। অন্যদিকে ভারতের ইন্দিরা সরকারের কুটনৈতিক তৎপরতায় আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের সরকার দিশেহারা, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমনে পাকিস্তানি ও স্থানীয় রাজাকার-আলবদরাও দলে দলে জান বাঁচাতে পালাতে ব্যস্ত। কেমন জানি অজানা এক আনন্দে আমাদের সাহসের সীমা দুর্বার গতি লাভ করছে, মনে হচ্ছে বিজয় সমাগত।

 

(চলবে——)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।