সর্বশেষঃ

স্থানীয়দের মত মালিক নিজেই ধ্বংশ করেছেন

ভোলায় পুকুরে বিষ দিয়ে লক্ষ টাকার মাছের পোনা ধ্বংস

ভোলায় আবু কালাম চৌকিদারের নিজস্ব পুকুরে বিষ প্রয়োগে লক্ষ টাকার মাছের পোনা ধ্বংস করার অভিযোগ উঠে। সরেজমিন সদর উপজেলার রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু কালাম চৌকিদারের বসত বাড়ির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এ মাছের পোনা ধ্বংশের ঘটনা ঘটে।

আবু কালাম জানান পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছোট ভাই লালু ও তার শ্ত্রী সহ আমার আরেক ভাই কাশেম চৌকিদার ও তার জামাই মিলে সড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমার পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটায়। তাদের সাথে পুর্ব থেকেই আমার পরিবারের সাথে বনিবনা হয়না বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিক বার আমার বড় ভাই সোবাহান চৌকিদার এসব তুচ্ছ ঘটনার মিমাংসা করলেও লালু ও কাশেম তা মানতে নারাজ বলে দাবি তুলেন আবু কালাম। অপর দিকে লালু চৌকিদারের শ্ত্রী সাজিয়া বেগম জানান আবু কালাম ও তার ছেলেরা মিলে আমাকে বেদরক মেরে আমার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে যার বিচারের দাবিতে ২৭/৫/২০২০তাং আমি নিজে বাদি হয়ে ভোলা সদর থানায় একটি জি,আর মামলা দায়ের করি যার নং ৪৪/৩১৭। মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গ্রেপ্তারের পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন আদালত। তার জামিন না মন্জুর করার রোশানলে আমাদের কে ফাঁশানোর উদ্যেশ্যে কাউন্টার মামলা আনয়নের জন্য আবু কালাম নিজেই তার মাছের পোনা মারার মত অপকৌশল অবলম্বন করে বলে জানান সাজিয়া বেগম। তবে মাছের পোনা ধ্বংশের বিষয়ে আবু কালামের বড় ভাই সোবাহান জানান তার পোনা সে নিজেই ধ্বংশ করতে পারে জি,আর মামলা কাউন্টার করার জন্য। তাদের বৃদ্বা মা জানান আমার ছেলে আবু কালাম, লালু ও কাশেমের বিরুদ্বে কাউন্টার মামলা করার জন্য তার পুকুরের মাছ সে নিজেই মারছে বলে মতপ্রকাশ করেন আবু কালাম ও লালুর মা জাহানারা বেগম (৬৭) মাছের পোনা ধ্বংশের বিষয়ে অভিযুক্ত লালুকে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত জানান যাদের মাছ মরেছে তারা একটি মহিলাকে মেরে হাত ভেঙ্গে ফেলার মত ঘটনায় মামলার আসামি ঐ মামলায় সাইফুল নামের একজন আসামী জেল হাজতেও রয়েছে। এদিকে মাছ মারার অভিযোগও আনা হচ্ছে ঐ মহিলার স্বামী লালুর বিরুদ্বে, অতএব মাছ মারার বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।