বোরহানউদ্দিনে বৃদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের নজির আহম্মেদ হাওলাদার বাড়ির ছালেম হাজী (৭৮) বৃদ্ধার উপর আতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রতিবেশী জেবল হক (৫৫) ও তার ছেলে আল-আমীন, (৩৬) রুহুল আমিন, ( ৪২) রাশেদ (২৮) ও তার নাতি শাকিল (২২) এর রিুদ্ধে।
এ ব্যাপারে আহত ছালেম হাজীর ছেলে মো খোকন নজির বলেন, গত ২৩ তারিখ সকাল ৯ টার দিকে আমার বাবার সাথে জেবল হকের কথার কাটাকাটি হয়। আমার বাবা মাগরিবের নামাজের পর পান বিক্রি করা টাকা আনতে সেন্টার বাজারে যাওয়ার পথে বাজারের কাছাকাছি জেবল হকের ছেলে আলামিনের চা দোকানের সামনে গেলে, জেবল হক আমার বাবাকে পিচ থেকে জরিয়ে ধরে। সাথে সাথেই তার ছেলে আলামিন, রুহুল আমিন, রাসেদ, শাকিল রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতারি মারতে থাকে। আমার বাবা বেহুশ অবস্থায় একটা স্বর্ণকারের দোকানে দৌড়ে গিয়ে উঠে জীবন রক্ষা করার জন্য। দোকানের ভিতরে গিয়ে বাবাকে আবারও রড দিয়ে মারতে থাকে। এরপর তার ছেলে আলামিন চা দোকানে কাজ করা বডি দিয়ে বাবার মাথায় আগাত করলে আমার বাবা এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। কিন্তু তারপরেও তাদের আগাত করা বন্ধ হয়নি।
আমার বাবা শুধু বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিতে থাকে কেউ এগিয়ে ধরতে আসলে তাকেও মারার হুমকি দিলে কেউই এগিয়ে আসেনি। খবর শুনে আমার ছোট ভাই ইলিয়াস বাড়িতে চিৎকার করে বলে যে আমার বাবাকে বাঁচান, বলার পরে আমার চাচাতো ভাই সহ আরো লোক দৌড়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তারপর আমার বাবাকে সবাই উদ্দার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন আমার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে দেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদেরকে জানান যে, আপনার বাবার অপারেশন করা লাগবে, এটা আমাদের এখানে সম্ভব না। আপনারা খুব দ্রুত ওনাকে ঢাকা নিয়ে যান। তখন আমরা আমার বাবাকে ঢাকা ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাই। আমার বাবার দুই হাতই ভাংছে এক একটা হাত দুই জায়গা দিয়ে ভাংছে। মাথায় ও শরিরে আঘাতের কারণে আমার বাবা একটু নাড়াচাড়া ও করতে পারছেনা, আমার বাবার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গরু চুরি সহ এলাকায় এরকম আরো অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আমার বাবার উপর হামলাকারীর বিচার চাই।
হামলাকারী জেবল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।