গলাচিপায় বেনামী আশ্রয়নের ঘরে, পরিবার নিয়ে শহিদুলের আশ্রয়

পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলা গোলখালী ইউনিয়নের দিনমজুর শহিদুল চৌকিদার আশ্রয়ন প্রকল্পের অন্যের ফেলে যাওয়া কক্ষে পরিবার নিয়ে অসহায় জীবন যাপন।পৈত্রিক ভিটায় ৩ শতক জমি থাকলেও আর্থিক সংকট থাকায় বসত ঘর তোলা সম্ভব হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্তার চৌকিদার এর ছেলে শহিদুল তরুন বয়স থেকে পরিবারের অভাব-অনাটনের কারনে অন্যের বাড়িতে কৃষি কাজ করত। নিজের সংসার গুছাতে গিয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানের পরিবারে ব্যায় বহন করতে না পেরে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়। অসহায় হয়ে পরিবার নিয়ে ঢাকা দিনমজুরীর কাজ করে সংসার ও ছেলেদের লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। পৌত্রিক বাড়িতে ৩ শতক জমি থাকলেও বসত ঘর তুলে বসবাস করা একার আয়ে সম্ভব ছিলোনা। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বপরিবারে গ্রামে ফিরে আসে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের অন্যের নামে বরাদ্দ দেওয়া কক্ষে পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়। আশ্রয় নেওয়া সরকারি কক্ষটি বসবাসের অন উপযোগী হলেও বাধ্য হয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছ।পৈত্রিক ভিটায় অন্যান্য ওয়ারিশরা বসবাস করলেও আর্থিক সংকটের কারনে শহিদুল ঘর তুলতে অক্ষম বলে জানান। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ উন্নয়ন ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন। গৃহহীনদের সহায়তায় ঘর দিয়েছে। এ ধরনের একটি ঘর আমরা পরিবার পেলে উপকৃত হতাম এবং ছেলেদের লেখা পড়াও চলত।
এ বিষয়ে নলুয়াবাগী আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী সদস্যদের সভাপতি মোঃরাজ্জাক আকন বলেন, নলুয়াবাগী আশ্রয়নে মোট ৬০ টি পরিবার রয়েছে। এদের মধ্যে ৮ টি কক্ষে বসবাসকারীদের নামে কোন বৈধ অনুমতি নেই। আশ্রয়নে অধিকাংশ ঘরের মেরামত দরকার। শহিদুলের ঘরেরও কোন কাগজ পত্র নেই। অতি কস্টে দিনযাপন করছে।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউ পি সদস্য মোঃ আবু সাইদ বলেন, দিনমজুর শহিদুল ও তার পরিবার নিয়ে অসহায় দিনযাপন করছে। অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। নলুয়াবাগী আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারী সদস্যরা কষ্টে রয়েছে। এই আশ্রয়নে কোন কোন ঘরের টিন, দরজা,জানালা নস্ট হয়ে গেছে।এ কারনে অনেকেই ঘর ছেড়ে চলে গেছে। এই ঘরগুলো মেরামত দরকার। শহিদুলের সে রকম কোন ব্যবস্থা থাকলে সেও চলে যেত।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।