দৌলতখানে আইসক্রিম কারখানায় অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার দৌলতখানে অভিজান আইসক্রিম কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মালিক পক্ষের এ সময় ২ হাজার পিস মানহীন আইসক্রিম জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরে জব্দ করা আইসক্রিম ধ্বংস করা হয়। শনিবার বিকালে ঘন্টব্যাপী পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের কলেজ রোড সংলগ্ন রাজধানী সুপার আইসক্রিম কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়। পরে রাজধানী সুপার আইসক্রিম কারখানার মালিক লোকমান হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো: সাইাদুজ্জামান।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে আইসক্রিম তৈরি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ নিয়ে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডে রাজধানী সুপার আইসক্রিম কারখানায় অভিযান পরিচালনা করি। ওই কারখানায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজস্ব মোড়ক ছাড়াও বিভিন্ন মোড়কে আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছে। পরে বিপুল পরিমাণ মানহীন আইসক্রিম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া আইসক্রিম কারখানার মালিক লোকমান হোসেনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাজারে বিক্রি করা আসইক্রিম ফেরত আনার জন্য। কারখানা পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে কারখানা চালুর কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় কারখানা বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে আইন কানুন না মেনে কারখানা চালু করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ধরণের আইসক্রিম খেলে মানবদেহের কি ধরণের কি ক্ষতি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, বি.এস.টি.আই থেকে যেহেতু তিনি অনুমতি নেন নাই, সেহেতু এসব আইসক্রিম স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর।
স্থানীয় কাউন্সিলর মো: রিপন জানান, এ ধরণের আইসক্রিম কারখানার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয়রা জানান, তীব্র দাপদাহের হাত থেকে স্বস্তির জন্য সাধারণ মানুষ ঠান্ডা-জাতীয় খাবার খেয়ে তৃষ্ণা মিটে, ঠিক সে-সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন ঠান্ডা-জাতীয় খাবার (আইসক্রিম) খাওয়াচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনিছুর রহমান জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিভিন্ন কালার ব্যবহার করলে এসব আইসক্রিম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।