চরফ্যাশনে ১৮ মামলার আসামীর ২০ বছরের কারাদন্ড

ভোলার চরফ্যাশনের শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৮ মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেনকে ২০ বছর ৪ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। একই সাথে তার ৮ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছর ৮মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: নুরুলই সলাম এই দন্ডাদেশ দেন। দন্ডিত মুরাদ হোসেন আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার চাপরাশীর ছেলে। মামলার অপর আসামী আজিজ ও লিটনের ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ডিত আজিজ একই এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে এবং লিটন ওই এলাকার রফিকের ছেলে। মামলার আরেক আসামী ফিরোজকে খালাস দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতসুত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে প্রকাশ, ২০১৫ সনের ০৪ মার্চ রাতে ফরিদাবাদের বাদশা মিয়ার বাড়ি হতে নিজ বাড়িযা ওয়ার পথে নুরাবাদ ৫নং ওয়ার্ডের গনি ডাক্তার বাড়ির সামনে গেলে আসামী সন্ত্রাসী মুরাদ অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মামলার বাদি মো. আবুল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ ঘটনায় আবুল হোসেন বাদি হয়ে ২০১৫ সনের ১৩ মার্চ মুরাদ হোসেন, লিটন, আজিজ ও ফিরোজ কে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় জিআর ৫৭/১৫ (চর) মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদের ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদ তার ছত্র-ছায়ায় থেকে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজী, ডাকাতি, প্রতারণা, নারী ধর্ষণসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ১৭টি মামলা বিচারাধীন আছে।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আবুল হোসেনসহ এলাকাবাসী। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ এম আমিনুল ইসলাম সরমান জানান, আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদের বিরুদ্ধে সন্তোষজনক রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।