স্বাস্থ্যখাত বনাম স্বাস্থ্যসেবা

স্বাস্থ্যখাত বনাম স্বাস্থ্যসেবা!

বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছে, আজ এই দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্ব দেওয়া কিন্তু আমরা স্বাস্থ্যসেবায় কতটা সেবা পাচ্ছি? কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস তো আছেই সাথে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের ও ভোগান্তির শেষ নেই, একজন রোগী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কতটা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে? করোনা রোগী চিকিৎসা কত % হয় সরকারী হাসপাতালে? কতটা হাসপাতালে আইসিইউ আছে? বিলাসবহুল ভবন দিয়ে কি লাভ যদি রোগীর বেড হয় ফ্লোরে? পাচ্ছে না পর্যান্ত চিকিৎসা।
দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস কিন্তু আজ করোনার নমুনা দিলে ১০/১৫ দিন পরে আসে নমুনা, এর মধ্যে যদি রোগী মৃত্যুবরণ করে? অথব সুস্থ হয় তখন কি ১৫ দিন পরে পজেটিভ আসলে তাকে লকডাউনে রাখবেন? ভোলা সদর হাসপাতালে মানে জেলা হাসপাতালে স্টোক করে কোন রোগী জরুরী বিভাগে গেলে চিকিৎসাপত্র ছাড়াই বরিশাল রেফার আর হার্টের রোগী হলে তো কথা না সবার আগেই রেফার এরই নাম জেলা শহর? ভোলার হাসপাতালের ভবন দেখলে বুকভরে যায় কিন্তু যখন নিজের কোন স্বজন অসুস্থ্য হলে হাসপাতালের ফ্লোরে নিয়ে রাখতে হয় আর চারপাশে দূর্গন্ধে রোগীসহ সাথের লোকগুলো ও অসুস্থ্য হয়ে যায় তখন মনে হয় আমরা সেই আদিম যুগে এখনো রয়েছি, তাহলে কি লাভ এই বিলাসবহুল ভবন করে? যদি রোগীর স্থান হয় ফ্লোরে? কি লাভ হাসপাতালে সকল রোগের চিকিৎসক না দিয়ে? আজ ভোলার মানুষ কোন অসুস্থ্য হলে নানান ভোগান্তিতে পড়তে হয়, এক কথায় কোন চিকিৎসা সেবা নেই ভোলাতে, যারা করোনা আক্রান্ত হয় তাদের খোঁজখবর ও তেমন নেওয়া হয়না, ইলিশার পল্লী চিকিৎসক রাজীব নিজের ব্যবস্থাপনায় ওষুধ খেয়ে মুক্তি পেয়েছে করোনা থেকে, স্বাস্থ্য বিভাগ তার চিকিৎসার খোজও নেইনি, রাজীব ফোন দিলে কথা বলতো কিন্তু তারা তেমন খোজঁ খবর নিতেনা।
সেদিন সাংবাদিক এইচ এম নাহিদ ভাই ভোলা পৌর শহরের এক করোনা রোগীর পরিবারের করুন অবস্থা তুলে ধরেছেন, এটা হবে কেনো? ধনীরা উড়োজাহাজে, নৌ এ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলার বাহিরে যাবে কিন্তু আমার মত আপনার মত গরীব অসহায় মানুষগুলোর অবস্থা কি হবে? তবে মনে রাখবেন মৃত্যুর পর আপনাকে ও যেই খাটে নিবে গরীবে ও একই খাটে নিবে, হইতো কোনটা স্টিল আর কোনটা কাঠের।
আজ হইতো অনেকে আমার লেখাগুলো পড়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো আমাদের চিকিৎসা সেবা কতটা উন্নত? হাসপাতালের সামনে লেখা দালাল থেকে সাবধান অথচ জরুরী বিভাগের সামনে ঘুরঘুর করে ফার্মেসীর লোক, ঔষুধ কোম্পানির স্টাফরা আর তাদের সাথে আতাত কিছু ডাক্তার ও হাসপাতালের স্টাফরা।
এক কথায় রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই, আজ আমার আপনার পরিবারের কেউ অসুস্থ্য হলে সদর হাসপাতালে গেলে পাবেন পর্যাপ্ত চিকিৎসা? আছে কোন গ্যারান্টি? একবার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে ঘুরে আসুন, সুস্থ থাকলেও আপনি আক্রান্ত হয়ে যাবেন ডায়রিয়ায়, আর সেখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় ডায়রিয়ার।
মনে রাখা উচিত এই ভোলায় দলমত নির্বিশেষে সবাই বসবাস করি তাই সকলের দায়িত্ব জেলা শহরের চিকিৎসার মান আরো উন্নত করতে এগিয়ে আশা।
পরিশেষে ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক সফল মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপিসহ অন্য ২.৩ ও৪ আসনের এমপি মহোদয়গণ ভোলার ২০ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে দ্রুত চিকিৎসাসেবার মান আরো উন্নত করবেন এবং ভোলার মানুষ যেন জেলার বাহিরের গিয়ে চিকিৎসা করা লাগবে না সেই ব্যবস্থা করবেন, আমরা এমনটাই আশা করি।

ইয়ামিন হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক ভোলার বাণী । ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
নিরাপদ চিকিৎসা চাই ভোলা-জেলা-শাখা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।