সর্বশেষঃ

ফলোআপ

টাকা দিলে নদীতেই মুক্তি না দিলে জেল, বেপরোয়া নৌ পুলিশ জিম্মি জেলেরা

 

মেঘনা নদীর জেলেরা বরিশাল অঞ্চলাধীন ভোলা ইলিশা নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ জাল জব্দ, বিক্রি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ইলিশা নৌ পুলিশের মাঝি ও নৌপুলিশের অত্যাচার-নির্যাতনের বিচারের দাবিও তুলেন মেঘনার জেলেরা। গত কাল ২২ জানুয়ারী শনিবার ইলিশা নৌ থানার একটি আভিযানিক টিম মেঘনা নদীতে ঝাটকা সুরক্ষা অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে মেঘনা নদীতে ঝাটকা সুরক্ষা রাখতে অবৈধ কারেন্ট জালের মাধ্যমে ঝাটকা নিধন করায় ২২ জেলেকে আটক করার সংবাদ পাওয়া যায়। এদিকে ঐ আভিযানিক টিম মেঘনা নদীর মতিরহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় ১৯ জন জেলেকে আটক করে উৎকোচ আদায় করে মুক্তি দেন ইলিশা নৌপুলিশের এ আভিযানিক টিম। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানার মামলা নং ৪৭ এ আসামী পারভেজ নেপাল,(২৪)পিতা মানিক নেপাল ২)সোহেল রানা (২৫) পিতা নিজাম ফকির ৩) আমির হোসেন (৩৫) পিতা সামছুল হক এদের বিরুদ্ধে মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষন আইনে মামলা করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। উভয় আসামী লক্ষীপুর জেলার চররমনি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বালুর চরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদিকে রবিবার সকালে আসামিদের নিকটতম আত্মীয় ইলিশা নৌ থানায় আসেন তাদের দেখার জন্য, এসে জানতে পান মামলায় তার আত্মীয়দের চালান করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে আসামিদের এক ঘাট মহাজন দুঃখজনক ভাবে প্রকাশ করেন আমরা ধাপে ধাপে আর কত টাকা দিবো? তবে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে মেঘনা নদীতে ঝাটকা সুরক্ষা অভিযানের নাম করে জেলেদের জিম্মিকরে অভিনব কায়দায় হাওয়াই মাসোয়ারা গ্রহণকারী ও প্রদানকারির দুটো বিকাশ পার্সোনাল নং এর লেনদেনের প্রমান পাওয়া যায়। তবে প্রদানকারী ব্যাক্তি কেন কি কারনে লেন দেন করেছেন তা স্বীকার করলেও গ্রহন করা নং ব্যাবহার কারী ইলিশা নৌ পুলিশের ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট চালক প্রথমে কল রিসিভ করেন। বিকাশে মতির হাট এলাকার নং এর থেকে গতকাল ইলিশা নৌপুলিশের নামে টাকা বলতেই কলটি কেটে দেন। পরে কল দিলে আর রিসিভ করে না। গতকাল ২২জানুয়ারী মেঘনা নদীতে ইলিশা নৌ থানার এ এস আই মহিন, ও সদ্য যোগদান কৃত এ এস আই আলাল ও এস আই তৌহিদ এর বিরুদ্ধে এ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে এ অভিযানে ৫/৬ মিটার প্রসস্থের প্রায় ৯০,০০০ মিটার এর মত অবৈধ জাল আটক করা হয়েছে ও ৪০ -৫০ কেজি জাটকা আটক করা হয়েছে । অবৈধ জাল আগুনে পুড়ানো ও ঝাটকা ইলিশ এতিমখানায় ভিতরণের আদেশ থাকলেও ইলিশা নৌ থানার জন্য তা শুধু কাগজে কলমেই রয়েছে। এই প্রতিবেদক নৌ পুলিশের থানা এলাকার বিভিন্ন এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ খবর নিলেও তারা জানান কখনো তাদের মাছ দেওয়া হইনি বর্তমান ওসি সাহেব আশার পর। স্থানীয় মতিরহাট এলাকার একাধিক জেলেরা বলেন নৌ পুলিশের মাঝি ও তাদের চাহিদামতো উৎকোচ না দিতে পারলে নৌ পুলিশের মাঝিরা আমাদের জালগুলো তুলে নিয়ে যায়। পরে অন্য জেলেরা আবার তাদের কাছ থেকে কিনে নেন। তবে ইলিশা নৌ পুলিশের মাঝি পরিচয় দানকারি ইমন এর এভাবে আনিত জাল বিক্রি করার একাধিক প্রমাণ রয়েছে । এ বিষয়ে ইলিশা নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল বাদশার বক্তব্য জানতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।