ভোলায় শহীদ বেদীর স্মৃতিফলক এর শূন্যতা পূরণ হবে কবে ?

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন সেসব বীর শহীদদের নামের তালিকা স্ব-স্ব জেলারটি স্ব-স্ব জেলায় ও উপ জেলায় স্মৃতি ফলক তৈরি করে স্থানীয় শহীদদের নামাঙ্কিত করার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। সে আলোকে সম্ভবত সকল উপজেলায় ও জেলা সদরে শহীদ স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। ভোলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেও একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। এটি জেলার কেন্দ্রীয় স্মৃতিফলক। এই স্মৃতিফলকে অত্র জেলার সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা থাকবার কথা রয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত স্মৃতিফলকে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার শহীদদের নাম বাদ দিয়ে দৌলতখান, লালমোহন ও তজুমুদ্দিন উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অঙ্কিত রয়েছে যা দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার কোন শহীদদের নাম সেখানে নেই কেন ? ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার শহীদদের নাম অঙ্কিত করবার জন্য স্মৃতিফলকে উপরের অংশ ফাঁকা রেখে দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুউদ্দিন উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামাঙ্কিত করা হয়।
স্মৃতিফলকের উপরের প্রায় অর্ধেক অংশ ফাঁকা রয়েছে দুই যুগ ধরে। কেন দুই যুগ ধরে উপরের অংশ ফাঁকা ? ভোলা সদরে ও বোরহানউদ্দিনের অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। সেইসব শহীদদের নাম দুই যুগেও সংগ্রহ করা গেল না কেন ? এই দায় কার ? গত দুই যুগে ভোলায় কর্মরত একজন জেলা প্রশাসকও কি এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন ? এ দায় থেকে কি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরও কি এড়িয়ে যাবার সুযোগ রয়েছে ? প্রতি বছর ২৬ শে মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর এই শহীদ বেদীতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন এই শহীদ বেদীতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে থাকেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।