মায়ের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী

(ফাইল ছবি)

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গোপালগঞ্জ সদরে মায়ের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে সুমাইয়া নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সের ওই শিক্ষার্থীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরবি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে হরিদাসপুর রয়েল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার এসএসসি পরীক্ষার্থী খাদিজা নিজে পরীক্ষা না দিয়ে তার মেয়ে গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়াকে দিয়ে নিজের এসএসসি পরীক্ষা দিতে পাঠায় কেন্দ্রে।
কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান জানান, পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পরে হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে এক পরীক্ষার্থীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। দেখা যায়, গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী খাদিজা খানমের স্থলে তার মেয়ে সুমাইয়া খানম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পরে মায়ের পরীক্ষায় মেয়ে অংশগ্রহণ করার অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা বড় ধরনের অপরাধ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগম জানান, এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েকে দিয়ে দেওয়ানো ভুল হয়েছে। তবে এই বয়সে মনের ইচ্ছা মেটাতেই পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।