লালমোহনে শিশু গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন, পালিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

ভোলার লালমোহনে শিশু গৃহপরিচারকার ওপর এক স্কুল শিক্ষিকার নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার পূর্ব চরকচ্চপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মেরিয়া জাহানের নির্যাতনের শিকার হয়ে চাঁদনী (১২) নামের ওই শিশু গৃহপরিচারিকা স্কুল শিক্ষিকার বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, গত দেড় বছর আগে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সবুজ হাওলাদার নামের এক অসহায় ব্যক্তির মেয়ে চাঁদনীকে লালমোহন পৌরসভার ওয়েষ্টার্ণপাড়া এলাকায় বসবাস করা শিক্ষিকা মেরিয়া জাহান কাজের জন্য আনেন। মেরিয়ার বাবার বাড়ি বাউফল উপজেলায়। সে সুবাধে চাঁদনীকে বাসার কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন মেরিয়া জাহান। তবে চাঁদনী মাঝে মধ্যে কাজে ভুল করলে তাকে বেধরক মারধর করে আটকে রাখে মেরিয়া ও তার স্বামী মামুন। সাদ্দাম ওরপে মামুন ওয়েষ্টার্ণ পাড়া এলাকার জামাল ডাক্তার বাড়ির নূরুজ্জামান ডাক্তারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই শিশু চাঁদনী জানান, বাসায় কাজ করতে এনে ভুল হলেই মামুন ও তার স্ত্রী মেরিয়া প্রায় সময় মারধর করতো। নিজ বাড়িতে কোন যোগাযোগ করতে দেয়নি এই দম্পত্তি। রোববারও মারধর করলে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে নিজ বাড়ি বাউফলে চলে আসি। এরপর আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন আমাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে রিসিভ না করায় তার স্বামী মামুনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় লাগে। এ ব্যাপারে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সমাধান করেছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।