সর্বশেষঃ

চেয়ারম্যান এর বাড়িতে অর্তকিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে কোপালেন আ’লীগ প্রার্থী

ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনকে রাস্তায় এবং বাড়ির ভিতরে ডুকে অর্তকিতভাবে দুই দফায় মেরে রক্তাক্ত ও কুপিয়ে জখম করেছেন নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী কর্মীবৃন্দরা। শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় স্থানীয় এক লোকের জানায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির জানা যায় উপস্থিত ছিলেন। উক্ত জানাযা শেষ করে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির তার কর্মীদের নিয়ে বাঘারহাট মাছ বাজারে একটি হোটেলে নাস্তা করেন। তার অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন জানাযা সম্পন্ন করে ভোলার উদ্দেশ্য তার ভতিজা রাজ্জাক ও ইউসুফসহ মোটরসাইকেল যোগে রওয়ানা হইলে পথিমধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাঁজি বাড়ির দরজায় পৌছা মাত্রই সামনে থেকে গাড়ি গতিরোধ করে অর্তকিতভাবে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরের নির্দেশে তার কর্মীবৃন্দ মাজাহারুল, সেলিম হাওলাদারের ছেলে বোমা শামিম, রাকিব, নুরনবী, রিপন গংরা রাস্তায় ফেলে লাঠি সোডা ও দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে। পওে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাড়ির পিছনে গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে সরে যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
ঘটনাস্থল থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাতিজা রাজ্জাক ও ইউসুফকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনা দেখে মুর্হুতের মধ্যে ঘটস্থলে শত শত লোকজন এসে ভিড় জমান। এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর সময় ফের পিছন দিক দিয়ে আ’লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয় ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে।
এসময় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের মধ্য আতংক সৃষ্টি করতে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তখন কর্মী সমর্থকরা দিক-বিদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তার পরিবারসহ কর্মীদের ১৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। আহতরা হলেন গিয়াস উদ্দিন, তার মেয়ে জান্নাত, ছেলে সুমন, ভাই ইব্রাহিম, ভাতিজা রাজ্জাক, ইউসুফ, জয়নব, ছিদ্দিক লার্ড, সুমন লার্ড, জাহিদসহ আরো অনেক আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, আমি ও আ’লীগ প্রার্থী সকালে বাঘার হাট বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় প্রতিবেশির জানাযা শেষ করেছি। আমি জানাযা শেষ করে ভোলার উদ্দেশ্য রওয়ানা হইলে পথিমধ্যে গাঁজি বাড়ির দরজয় আসলে সামনে থেকে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর নির্দেশে তার সমর্থকরা দা, লাঠি সোডা দিয়ে আমাদের কুপিয়ে জখম করে মাঠিতে ফেলে দেয় সেখান থেকে আমার দুই ভাতিজা কে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠায়। পরে খবর পেয়ে ভোলা সদর থানা থেকে এসআই মকবুল গাঁজি বাড়ির দরজায় পৌছে তার কিছুক্ষন পরে বাড়ি থেকে আমার কাছে খবর আসে যে আমার বাড়িতে বোমা মেরে হামলা করতেছে সাথে সাথে এসআই মকবুল ও সাথে থাকা গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে বাড়িতে গেলে তখন দেখি হামলা এবংবোমা চলছে।
আমি বাড়ির সামনে পৌছলে তার কিছু মিনিট পরে এসআই সোহাগের নেতৃত্বে আরো এক গাড়ি পুলিশ এসে আমার বাড়ির সামনে আসে তখন তাদের উপস্থিতিতে অন্যদিক দিয়ে বাড়ির ভিতরে ডুকে আমার বাড়িতে হামলা ও বোমা মেরে কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে রক্তাক্ত করে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় তখন তৎক্ষনাৎ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার নিমিশেষে আমাদের পরিবারের আমাকে এবং আমার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে, ভাই সহ ১৫ জন কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী জরিরের নির্দেশে মাজাহারুল, বোমা শামিম, রাকিব, নুর নবী, রিপন, আরিফ, সুমন, আলমগীর, সেলিমসহ আরো ১০০-১৫০ সন্ত্রাসী অর্তকিত ভাবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আহত করে। হামলার বিষয় অভিযুক্ত আ’লীগ প্রার্থী জহির জানান, আমরা দুই জন সকালে জানাযা শেষ করেছি আমি বাঘার হাট বাজারে ছিলাম আর গিয়াস চলে যায়। ঘটনায় আমার ও গিয়াসের উভয়ের কর্মী আহত হইছে তারা সবাই হাতপাতালে ভর্তি আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে গিয়াস চেয়ারম্যানের উপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেইনি।
ঘটনার বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে কোন পক্ষ থেকেই অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।