চরফ্যাশনে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ

(অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম বিপ্লব)

সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে চরফ্যাশনে দুই সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন এমন খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (২৪অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সামনের মুক্তিযোদ্ধা অফিসের পাশে মোল্লা ভবনে যুবলীগ নেতা রাজিব মোল্লার ব্যবসায়ীক অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে রাজীব মোল্লা, আরিফ মোল্লা, আরাফাত নুরনবী, নুর হোসেন দেওয়ান কর্তৃক বড় ভাইয়ের লেনদেনের জের ধরে ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মনিরকে মোল্লা ভবনে রাজিব মোল্লার অফিস কক্ষে আটকে রাখে। শিক্ষক আটকের খবরে স্থানীয় তিন সংবাদকর্মী যুগান্তর চরফ্যাশন দক্ষিণ প্রতিনিধি এম আমির হোসেন ও সংবাদ প্রতিদিন চরফ্যাশন প্রতিনিধি নুরুল্লাহ ভূইয়া ও খোলা কাগজ চরফ্যাশন প্রতিনিধি জিহাদুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহে যান। এসময় যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে রাজিব মোল্লা, আরিফ মোল্লা, আরাফাত হোসেন নুরনবী ও নুর হোসেন দেওয়ান দুই সাংবাদিক নুরুল্লাহ ভূইয়া ও জিহাদুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। চরফ্যাশনের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্লা আবুল কালাম আজাদ সেখানে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদেরকে উস্কানী দিতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে, হামলাকারী রাজিব মোল্লা ও আরিফ মোল্লা দুইজনই মোল্লা আবুল কালাম আজাদের ছেলে। এসময় সেখানে উপস্থিত চরফ্যাশনের স্থানীয় পৌর ৪-নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু এবং সাংবাদিক এম আমির হোসেন হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় চরফ্যাশন সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও সম্পাদক এম আমির হোসেন, বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সভাপতি নোমান শিকদার ও সম্পাদক মিজান নয়ন এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-(বিএমএসএফ) চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সভাপতি আদিত্য জাহিদ চৌধুরী তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।