ক্লাবটাকে খুব ভালোবাসি, ছেড়ে যেতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে : মেসি

সেই কৈশোরে বাবার হাত ধরে ন্যু ক্যাম্পে এসেছিলেন। তখন কেউ জানত না, ছোট্ট লিও একদিন হয়ে উঠবেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম মহাতারকা। বার্সেলোনার ফুটবলার তৈরির কারখানা লা মাসিয়ায় শুরু হয় মেসির ক্যারিয়ার। এরপর কেটে গেল ২১ বছর। ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে আইনী জটিলতায় লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য হতে হচ্ছে। এই বিচ্ছেদে কষ্টে তার বুক ফেটে যাচ্ছে। আজ শেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজে কাঁদলেন, সবাইকে কাঁদালেন।
বার্সেলোনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে মেসি বলেন, ক্লাবটা ছাড়তে হবে ভেবে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এই ক্লাবটাকে আমি ভালোবাসি। এমন একটা মুহূর্ত আসবে, এটা আমি কখনো ভাবিনি। একেবারেই মিথ্যা বলছি না, সব সময়ই মনে যা আছে সেটা বলার চেষ্টা করেছি। সত্যিটা বলার চেষ্টা করেছি। গত বছর আমি ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলাম, এই বছর তা নয়। এ কারণেই কষ্টটা বেশি হচ্ছে। সবাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল যে আমি এখানেই থাকব, সবকিছু ঠিক হয়ে ছিল।
প্রিয় বার্সেলোনা শহর ছেড়ে যেতে কতটা কষ্ট হবে- জানিয়ে মেসি আরও বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর গত কয়েকদিন খুব বেদনার ছিল। এখন যখন আমি বাড়ি ফিরব, সবকিছু আরও খারাপ লাগবে। তবে এই মুহূর্তটাতে আমার পরিবারের আরও কাছে থাকা দরকার, যাদের ভালোবাসি তাদের সঙ্গ দরকার। ফুটবল খেলে যাওয়া দরকার, যে কাজটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। একবার ফুটবল খেলতে শুরু করলে সবকিছু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া চুক্তি নবায়ন হঠাৎ বিপরীত রূপ নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ‘বার্সার যখন আর কিছু করার ছিল না তখনই চুক্তির আলোচনা থেমেছে। ক্লাব বুঝতে পেরেছে লা লিগা এটা (চুক্তি নবায়ন) হতে দেবে না। সম্ভবই ছিল না সেটা। এরপর আমারও ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হতো, যেটা এখন করব। সমর্থকদের সঙ্গে সব ব্যাপারে আমরা সব সময়ই সৎ থেকেছি, অন্তত আমার দিক থেকে আমি থেকেছি। আমি কখনোই ক্লাবের সমর্থকদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।