এখন অসুখের কারণে ভিক্ষা করতে পারিনা, আমারে একটা কার্ড করে দেন : সমতা বিবি

সমতা বিবি। বয়স প্রায় ৬৩। স্বামী মোখলেছ মিয়া চির ঘুমে চলে গেছেন তাও ১৭ বছর হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর কোনো সন্তান না থাকায় বেঁচে থাকার তাগিদে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষার পথ। এরপর থেকে ভিক্ষা করেই কোনো মতে খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। তবে এখন শরীরে নানান রোগ বাসা বেঁধেছে। অসুস্থ্যতার কারণে ঠিকমত চলাফেরা আর কথা বলতে পারেন না সমতা বিবি। এতো অসহায় হওয়ার পরেও স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। বলছি ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের বটতলা বেড়ির মাথা এলাকায় বাস করা অসহায় বৃদ্ধা সমতা বিবির কথা।
আক্ষেপ নিয়ে এই অসহায় বৃদ্ধা বলেন, সরকার গরীবদের জন্য বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছে। আমি আজ পর্যন্ত কোনো ভাতা পেলাম না। অনেকদিন ইউপি মেম্বারদের কাছে গিয়েছি কিন্তু তারা বারবার আমার নাম নিয়েছে কিন্তু আমাকে একটা ভাতাও করে দেননি। আর কবে পাব ভাতা ? মনে হয় মরার পরে ভাতা পাব ! মরে গেলে ভাতা দিয়ে কি হবে। আপনারা আমাকে একটা কার্ড করে দেন। এখন অসুখের কারনে ভিক্ষা করতে পারিনা।
সমতা বিবির ভাইয়ের মেয়ে কমলা ও তার স্বামী শাহীন বলেন, ফুফুর কোনো ছেলে মেয়ে নেই। তাই আমরা তাকে আমাদের ঘরে থাকতে দিয়েছি। আমরাও গরীব মানুষ বেড়ীর পাড়ে সরকারি জমিতে থাকি। কোন মতে আমরা খেয়ে, না খেয়ে আছি। এখন আমরা যতটুকু পারি ফুফুকে ততটুকু খাওয়ানোর চেষ্টা করি। তবে টাকার সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার গরীবদের এতো ভাতা দেয় কিন্তু আমাদের ফুফু কোনো ভাতা পায়না। মনে হয় সরকারি এসব ভাতা গরীবদের জন্য নয় !

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।