ভোলার ভেলুমিয়ায় ক্রয়কৃত জমির মালিককে কুপিয়েছে ভূমিদস্যু গংরা

ভোলার ভেলুমিয়া গাঁজির চরে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় নিজের জমি বুঝ পেতে জমির কাছে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী দা, বটি, লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ক্রয়কৃত জমির মালিকগনকে জমির কাছে যাওয়া মাত্রই এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাঠি সোটা দিয়ে মেরে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যাওযার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৮টায় চরগাঁজির ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
জমির প্রকৃত মালিক চর গাঁজির ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৌলভী শাহাজানের ছেলে মামুন গত দুই বছর আগে আলম জমাদারের কাছ থেকে ২, ১/২ আড়াই শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয় করার পর থেকে উক্ত জমিটি নামজারি ও পর্চা, রেকর্ডসহ সকল কিছু আমাদের নামে এবং আমরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছি।
জমির মালিক মামুন এর ভাই আলামিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির কুখ্যাত সন্ত্রাসী চর দখলকারি ভূমিদস্যু মৃত জালাল ব্যাপারির ছেলে বিল্লাল ব্যাপারিসহ তার নেতৃত্বে তার ছেলে মনির ও হাসান আরো অজ্ঞাত কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে হঠাৎ করে আমার জমির কাছে গিয়ে আমার জমি দাবি করে এবং আমার জমি থেকে রাতের আধারে গাঁছ কর্তন করে নিয়ে যায়। আমি তার খবর শুনে ভোলা থানায় মামলা করি।
এরপরেও তিনি গাছ কেটে ক্ষ্যান্ত হননি তিনি পূর্বের ন্যায় আজ আমি আমার জমিতে যাওযার পর উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় এতে আমরা অনেকে আহত হলে আমাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইয়াছেন স্থানীয়রা। আহত মামুন এর ভাই আলামিন জানান, আমরা ভোলা থানায় মামলা করবো প্রস্তুতি নিচ্ছি।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, এই জমি আজ থেকে দুই বছর আগে মামুন জমির যে প্রকৃত মালিক আলম জমাদার তার কাছ থেকে ক্রয় করে মামুন কিন্তু আজ দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর বিল্লাল জমির কাছে জমি দাবি করে বসে এবং উক্ত জমিতে ক্রয়কৃত মালিক মামুন গংরা জমির কাছে গেলে তাদেরকে মেরে রক্তাক্ত করে বিল্লাল গংরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিল্লাল ব্যাপারির সাথে কথা বলতে গেলে তাকে ঘটনাস্থলে গিয়েও পাওয়া জায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালাম মাস্টার জানান, আমাকে মারামারির বিষয়টি অবগত করেছেন স্থানীয় একজন। পরে আহত মামুন এর ভাই আমাকে ফোনে জানালে আমি বিষয়টি নিশ্চিত হই। আমি তাদেরকে আশাস্ত করেছি। আপনারা সুস্থ্য হয়ে আসেন, আমি ঘটনাটি পুরোপুরি জেনে উপযুক্ত বিচার করে সমাধান করে দিবো।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।