অল্প বেতনে চাকুরী।। সততার সাথে দায়িত্ব পালনকারীর নামই ইমামতি

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ আজব এক চাকরি তার নাম ইমামতি অন্যান্য চাকুরিতে মালিকপক্ষ থাকে এক দুই জন। আর ইমামতি চাকুরিতে মালিকপক্ষ শত শত জন। একজন মাত্র মালিকের অধিনে হাজার হাজর লোকও চাকুরি করে থাকে। তারপরেও কোন কোন সময় মালিক পক্ষকে সন্তুষ্ট করা যায় না। আর ইমামতিতে এক জন মাত্র ইমামের পক্ষে শত শত মানুষের শত শত মনকে রক্ষা করা কি সাধারন কোন কথা
ছুটিতে যেয়ে যদি কোন ওজরের কারনে মাত্র একদিনের বেশি ছুটিতে থাকে, তাহলেই শুরু হলো চিল্লা চিল্লি যে, এই মাসের ইমামকে বেতন দেওয়াই যাবে না, ইমাম বাদ দিয়া আরেকজন নিয়োগ দাও।
তখন মসজিদের সমস্ত মুসুল্লিই যেন ইমামের বসের ভুমিকা পালন করে।
পান থেকে চুন খসলেই যেন আর রক্ষা নাই ইমামের
আঙ্গুল উঁচিয়ে ধমকের সুরে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে না মুসুল্লিরা
আমি মাঝে মধ্য ভাবি যে, এই লোকগুলি যদি এমপি বা মন্ত্রি হতে পারতো তাহলে জনগনের বারোটা বাজিয়ে ছাড়তো। মাসে এক শত টাকা মসজিদে চাঁদা দিয়াই যেই পরিমান তাফালিং করে, ইমামের উপর যেভাবে নজরদারী করে, তা দেখে গা জ্বালা করে

কার মহল্লার মসজিদকে কতো সুন্দর করা যায়, কত রকমের ডিজাইন করা যায় তাহা নিয়া প্রতিযোগিতার শেষ নাই। তখন টাকার হিসাবও নাই। যত টাকাই লাগুক না কেন টাকার অভাব নাই। কিন্তু ইমামের বেতন পাঁচ – ছয় হাজারের বেশি দিতে রাজি না।
হায়রে মানুষ। একজন ইমামের অবমাননা করেও দৌড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও
মনে রাখবে ইমাম কারো চাকর না। তিনি ওরাছাতুল আম্বিয়া, অর্থাৎ যেই মিম্বারে নবীজী (সাঃ) বসতেন, সেই মিম্বারেই কিন্তু একজন ইমাম বসেন।
অতএব, কাকে অবমাননা করছো? কার সাথে বেয়াদবি করেছো? একটু হলেও ভেবে দেখো দেখো হে মুসল্লিগণ।
হে আল্লাহ বাংলাদেশের ইমামদের
তুমি হেফাজত করো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।