সর্বশেষঃ

দৌলতখানে যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর

ভোলার দৌলতখানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মিনারা বেগম(২৫) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার উপজেলার সৈয়দপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ১ বছর পূর্বে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সিরাজের মেয়ে মিনারা বেগমের সাথে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কালুর ছেলে হুমায়ুন এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।

শ্বশুর ও শাশুড়ির প্ররোচনায় স্বামী হুমায়ুন প্রায়ই তাকে নানা অজুহাতে বেধরক মারধর করে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর টিনের চালে ডিল মারেন তার বাসুরের মেয়ে মরিয়ম। এনিয়ে গত শনিবার তার বাসুরের স্ত্রীর সঙ্গে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে তার বাসুরের স্ত্রী খালেদা ও নাজমা মারধর করেন।

এছাড়াও গত তিন মাস আগে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে আসবাবপত্র না দেওয়াকে কেন্দ্র করে জামাতা হুমায়ুন ,ননদ মুক্তা ও দেবর সবুজ নির্যাতন করেন । এবিষয় ওই গৃহবধূর বাবা সিরাজ জানান, আমার আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল রয়েছে। তার মধ্যেও ধারদেনা করে সামাজিকভাবে একটি মেয়ের বিয়েতে যা দেওয়ার তা সম্পন্ন দিয়েছি। জামাইকে ৫০ হাজার টাকা মেয়ের স্বর্ণঅলংকার সহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল দিয়েছি। তারপরও আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় আরো যৌতুকের টাকা চেয়ে মারধর করে। প্রশাসনের কাছে এর আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বজলার রহমান জানান, এঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানূগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।