ভোলার সড়কে অবৈধ নসিমন চাঁদার বিনিময়ে বৈধতা দিচ্ছেন চাঁদাবাজ শাহাজান: প্রশাসন নিরব

ভোলার সড়কের দূর্ঘটনার মূলে হলো অবৈধ নসিমন-করিমন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষে বার বার নসিমন-করিমন এর বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিলেও কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশের সাথে আঁতাত করে ইলিশা সরকারী স্কুল খেলার মাঠের ইলিশ চত্বর এর পাশে শাহাজান স্টার এর মালিক চাঁদাবাজ শাহাজান মাসিক ৩০০ টাকার বিনিময়ে সড়কে এই অবৈধ নসিমন-করিমন কে বৈধতা দিচ্ছেন বলে জানা যায়।

অনুসন্ধানে গিয়ে নসিমন ড্রাইভারদের সাথে কথা বললে জানা যায়, প্রতিমাসে ৩০০ টাকা করে তারা তৈল ব্যবসায়ী শাহাজান কে দিয়ে থাকে, পুলিশের নামে শাহাজান মাসিক চাঁদার বিনিময়ে বৈধতা দিচ্ছেন সড়কে তাদের চলার।

নসিমন ড্রাইভাররা বলেন শাহাজান ভাই কে আমরা মাসিক চাঁদা দিলে পুলিশ আমাদের আর সমস্যা করে না বলেও জানান তারা।

এদিকে ড্রাইভার সেজে এই প্রতিবেদক শাহাজাহান কে ফোন দিয়ে বলেন ভাই আপনাকে মাসিক চাঁদা দেয় আমরা এখন যদি অন্য কেউ চায় তখন কি করবো? এসময় শাহাজাহান বলেন আমাকে টাকা দেওয়ার পর থেকে আপনাকে কোন পুলিশ ডিস্টার্ব করে? আমি পুলিশ ম্যানেজ করেই চলি।
পরে সরাসরি বক্তব্য নিতে সরকারি স্কুলের খেলার মাঠ সংলগ্ন তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি তবে মোবাইলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বললে শাহাজাহান ইলিশায় আছে বলে জানান তবে তার দোকানে থাকা তার ভাতিজা বলেন শাজাহান কাকার কোন দোষ নাই কাগজপত্র না থাকায় নসিমন ড্রাইভারদের টাকা উঠিয়ে পুলিশের লোক কে দিয়ে দেন তিনি।

সচেতন মহল মনে করে ভোলার কিছু অসাধু ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা শাহাজাহান এর দোকানে বসে নিয়মিত আড্ডা দেয় এবং তারাই তার সাথে আঁতাত করে চলে, আর আঁতাত না করলে কি ভাবে বীরদর্পে সড়কে এই অবৈধ নসিমন-করিমন চলে? সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবৈধ নসিমন-করিমন বন্ধ ও চাঁদাবাজ শাহাজান কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

এই বিষয়ে ভোলার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোঃ রিয়াজ ভোলার বাণী কে বলেন ভাই আমি নতুন এসেছি তবে এই বিষয়ে আমি এখনও জানিনা তবে ওর বিরুদ্ধে সবাইকে চাঁদাবাজী মামলা দিতে বলেন ওরে রিমান্ডে নিলে সঠিক তথ্য দিবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।