ভোলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আশরাফু আলম সজিব ॥ ভোলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল ও সুবিধা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্প একাডেমির হল রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সমাবেশ স্থলে ডেস্ক খুলে নিবন্ধন করেন সোনালী ব্যাংক ডিজিএম সরদার মোঃ জাহিদ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান আছে তারা তাদের নিজস্ব প্রবিধান দ্বারা পেনশন পাচ্ছেন কিন্তুু একটি বড় অংশ অর্থাৎ ৫% জনগোষ্ঠীর বাহিরে বাকি ৯৫% জনগোষ্ঠী কোনো ভাবেই পেনশনের আওতায় নেই। কিন্তু সরকার চিন্তা করেছে যে সমগ্র মানুষকে একটি নিরাপত্তা বেষ্টোনির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের সম্পূর্ণ জীবনটা অর্থাৎ লাইফ পার্টটাকে একটা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং এটা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। অর্থাৎ শুধুমাত্র ৫% দিয়ে এই বাংলাদেশকে জনকল্যাণমূলক একটি রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না। এর জন্য সমগ্র জনগোষ্ঠীর দৈনিক যে টাকা উপার্জন করে, সেখান থেকে কিছু টাকা উদ্বৃত্ত রেখে তা পেনশন স্কিমে জমা দিতে পারে। যে টাকা জমা দিবে তা হতে পারে ১ হাজার থেকে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্ব-স্ব ব্যক্তি তার অবস্থান অনুযায়ী টাকা জমা দিতে পারবেন। আপনি যেটা সঞ্চয় করলেন সেটা আপনার একাউন্টেই জমা হবে।


তিনি আরো বলেন, সোজা কথা; সরকারি পেনশন ভুগি আমরা যারা আছি, এখানে আপনারা যারা আছেন সকলেই এ কার্যক্রমের আওতায় বিদ্যমান। আপনার এ টাকার সিকিউরিটি আছে এবং আপনি মারা যাওয়ার পরে যে নমিনী সেভ করে দিয়ে গেছেন তারা ওই টাকা পাবেন।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ভোলা জেলাতে ১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ কে এই সেফটিনেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় আনা হয়েছে। সরকার চায় এই বাংলাদেশের সবাই এই সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আসুক। জেলা প্রশাসকের একার পক্ষে সম্ভব নয় সরকার থেকে যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে সে কমিটিতে এই জেলার ৫ জন মাননীয় সংসদ সদস্যকে উপদেষ্টা করেছেন এবং ৬ নং যিনি তিনি হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ সরকার যে সুবিধা দিয়েছে সেই সুবিধা থেকে ভোলা জেলার মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা স্বজল চন্দ্র শীল, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হেসেন মহিন, ভেদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ওবায়দুল হোক কলেজ অধ্যক্ষ এবিএম এনামুল হক প্রমুখ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।