সর্বশেষঃ

ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষকদের অবসর ভাতা পরিশোধের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অবসরে যাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কাটার বিপরীতে আর্থিক ও অবসর সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে দিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে, আদেশের লিখিত কপি পাওয়া যায়নি। এমন নির্দেশনা দিয়েছেন মর্মে একজন আইনজীবী কয়েকজন কম সাংবাদিকের কাছে দাবি করেছেন। অতীতে এমন অনেক আদেশ ও রুলের নানা ব্যাখ্যা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর অভিযোগ রয়েছে এই আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
সেই আইনজীবী আরো বলেছেন হাইকোর্ট বলেছে, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসর ভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। এর পরদিন রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে আর্থিক ও অবসর সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে প্রদানের বিষয়ে এই রিট দায়ের করা হয়। পরে ওই শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এসব বিষয় নির্বাহী বিভাগের, যেখানে অর্থসংস্থানের বিষয় থাকে সেখানে হাইকোর্টের এমনসব আদেশের কপি পাওয়ার পর সরকার পক্ষ আপিল করে থাকেন। এই আদেশ নিয়েও এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এদিকে রিটের নামে শিক্ষকদের পকেট ফাঁকা করার ধান্দায় থাকা কিছু দালাল ফেসবুক ইউটিউব ও কিছু এমপিওভুক্ত;নামধারী শিক্ষক-কাম সাংবাদিক নানা ভুল ব্যাখ্যা করে রিটকারীদের সন্তুষ্টু করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।