ভোলায় ৫২ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

মনিরুল ইসলাম ॥ ভোলায় বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫২ তম বাংলাদেশ জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোলা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকালে উদ্বোধন ও বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল ১০ টায় বেলুন, ফ্যাস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান।
জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান। বিকেল ৩টায় পুরস্কার বিতরণ করেন ভোলা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রিপন কুমার সাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার, মাধ্যমিক শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা নুর আলম সিদ্দিকী, জেলা ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মাইনুদ্দিনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অসীম আশ্চর্য শান্ত ও পারভেজ এর সঞ্চালনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ক্রীড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ জেলা স্কাউটস ও গার্ল গাইড উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, যারা শিক্ষক রয়েছেন শিক্ষার্থীদেরকে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কর্মকা-ের সুযোগ করে দেয়ার পরামর্শ দেন। আমাদেরকে ব্যবহার করুন। আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এসেছি। আমাদের দায়িত্ব সরকারি নির্দেশনা মেনে এ জেলার মানুষদের ভবিষ্যতের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সেবা দান করা। শিক্ষক মন্ডলী প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কর্মকান্ডের আয়োজন করুন। জেলা প্রশাসন থেকে যেকোন সহযোগিতা চাইলে আমরা তা পূরণ করবো।


তিনি আরো বলেন, ভোলার প্রত্যেকটি মানুষ যাতে বাংলাদেশেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে তার জন্য এগিয়ে আসুন। পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম একটিভিটিসের জন্য এ আয়োজন। গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্যের খেলা গুলো লালন করে শরীর গঠনের জন্য এটি একটি উত্তম আয়োজন। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে যাতে তোমাদের নিজের অবস্থান তৈরী করে নিতে পার তার চেষ্টা অব্যাহত রাখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা বলেন, ভোলায় স্কুলের পাশাপাশি স্কুল প্রাঙ্গনে কিন্তু খুব সুন্দর খেলার মাঠ রয়েছে। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলার মাঠ রয়েছে তারা এক্ষেত্রে অনেক বেশি সৌভাগ্যবান কারণ ঢাকা শহরে সেই সুযোগ নাই। এই খেলার পিছনে তারা অনেক শ্রম দিয়েছে। যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জেলা পর্যায়ে এসেছে তারা উপজেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে শ্রম দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। আমরা আশা করছি তারা অঞ্চলসহ জাতীয়রপর্যায়ে সুনাম অক্ষুন্ন রাখবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।