প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৫ মে ভোলার একটি নিউজ পোর্টাল ভোলা নিউজ ডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে “ভোলায় এতিম সন্তানের উপর দুই ভাইয়ের বর্বরোচিত হামলা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল বুঝিয়ে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ এ সংবাদটি করিয়েছে।

সংবাদটিতে বলা হয়েছে, মৃত আব্দুল কাদেরের বোন শরবাণু বেগম ও নুরবানু বেগমের কাছ থেকে কালু হোসেন ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর পর তার ছেলে ইলিয়াস অবশিষ্ট সম্পত্তির অংশীদারি ভাগ পায়। গেল কয়েকবছর আগে ইলিয়াস মারা গেলে তার সন্তান নিপা বেগম, মামুন ও স্ত্রী সুফিয়া বেগম অংশীদারি ভাগ পায়। সেই অংশীদারি জমিতে প্রতিপক্ষের কালু হোসেন, নুরনবী ওরফে হাফেজ ও মো. শাকিল দখল করতে যায়। এসময় নিপা, মামুন ও তাদের মা প্রতিপক্ষদেরকে বাঁধা দিলে তারা এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে মারধর করে। তাদের হামলায় নিপা বেগমের বা কানের একাংশ ছিঁড়ে গেছে। এছাড়াও তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। আমরা এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, S.A খতিয়ান থেকে কাদের গং এবং ফিরোজা খাতুন জং আহাম্মদ আলী মাল থেকে আঃ রশিদ ১১.৬২ শতাংশ জমি খরিদ করে। ১১.৬২ শতাংশ জমির মধ্য ৪ শতাংশ জমি পুকুর ছিলো, পরবর্তীতে আঃ রশিদ এর ছেলেরা ঐই পুকুর বালি দিয়ে ভরাট করে এবং ওখানে একটি ঘর করে মাদ্রাসার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২ বছর থেকে কাদের গংরা ঐ মাদ্রাসার জমি নিজেদের বলে দাবী করে এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার এমনকি থানায়ও অভিযোগ করে। এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোথাও কোনো প্রকার প্রমানাদি দাখিল করতে পারেনি। এভাবে ১৫/১৬ বার শালিশী বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়, কিন্তু কোনো শালিশে তারা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এভাবে তাদের অভিযোগ চলতেই থাকে। এখানে আঃ রশিদ গংদের বসতঘরের ভিতর ২ শতাংশের মত সরকারি (খাস) জমি আছে, যা বর্তমানে B.S খতিয়ানে দখল অনুযায়ী তাদের নামে রেকর্ড হয়। সেই সরকারি (খাস) জমি কাদের গংরা দাবী করে। এর পরিপ্রক্ষিতে গত ৭/৪/২৪ ইং তারিখ থানার উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয় এবং ১/৫/২৪ ইং তারিখ আবারও কাগজপত্র পর্যালোচনা করার জন্য ওসি মহোদয় এর টেবিলে বসার সিদ্ধান্ত হয়। ১/৫/২৪ ইং তারিখ ওসি মহোদয় উভয়পক্ষের শালিশদার স্থানীয় মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং থানার দারোগা সহ সকলে মিলে উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আঃ রশিদ গংদের স্বপক্ষে মতামত পেশ করেন।
পরদিন ২/৫/২৪ ইং তারিখ আঃ রশিদ গংরা তাদের রেকর্ডিয় জমিতে অর্থাৎ মাদ্ররাসার মেরামতের কাজ করতে গেলে কাদের গংরা দেশিও অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর ও ভাংচুর করে। এরপর সুফিয়া বেগম নিজেই তার মেয়ে নিপার কানে এমিটি সোনা ধরে টান দিয়ে কানে সামান্য জখম করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য হাসপাতেলে ভর্তি হয়।

মোঃ রজব আলী (কালু)
নুর নবী ওরফে হাফেজ
মোঃ শাকিল
পশ্চিম চরনোয়াবাদ, ৯ নং ওয়ার্ড, বাপ্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।