ভোলায় গভীর রাতে জমি দখল, প্রাণ নাশের হুকমী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলায় গভীর রাতে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে মো: আমির হোসেন (৫৬) নামে এক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর জঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে বাপ্তা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মুসাকান্দিতে বসবাস করছেন। অভিযুক্তরা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মো: ফারুক (৪০), মো: বিল্লাল (৩৫), এবং একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম (৫০) ও আ: খালেকের ছেলে মো: শহিদুল ইসলাম (২৭)।
মো: আমির হোসেন মঙ্গলবার ভোলার শহরের একটি পত্রিকা অফিসে এসে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৬৩ সালে মো: ফারুক গং এর দাদা মো: ইলিয়াছ বিএস ৫০৬ নং খতিয়ানের ২৪ শতাংশ জমির মধ্যে মসজিদে দান করেন ৪ শতাংশ, ১৬ শাতংশ আমিনা খাতুন ও হাসিমের কাছে বিক্রি করেন। এছাড়াও ৩ শতাংশ জমি ফারুকের দাদা ও বাবা পরবর্তীতে আমার কাছে বিক্রি করেন। পরে তাদের জমি অবশিষ্ট থাকে মাত্র সোয়া ১ শতাংশ। আবার ২০০১ সালের দিকে তিনি আমিনা খাতুন ও হাসিমের কাছ থেকে ইলিয়াছের থেকে ক্রয় করা সব জমি ক্রয় করে নেই আমি। সব মিলে ইলিয়াছের খতিয়ানের ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হই আমি। অথচ মাত্র সোয়া ১ শতাংশ জমির মালিক ফারুক গংরা থাকা শত্ত্বেও তারা তিনটি বসতঘর ও একটি পুকুরে মিলে আমার ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছেন।
তিনি আরো জানান, তিনি বর্তমানে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মুসাকান্দি এলাকায় বসবাস করছেন। ওই বাজারে তার একটি দোকান ঘর রয়েছে সেটি তিনি র্দীঘ দিন ধরে কামারের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। আমি র্দীঘ দিন ধরে চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাড়িতে বসবাস না করায় মো: ফারুক (৪০), মো: বিল্লাল (৩৫), মো: রফিকুল ইসলাম (৫০) ও মো: শহিদুল ইসলাম (২৭) ওই দোকান ঘরটি দখল নিতে অবৈধভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকী দেখিয়ে আসছে। এ নিয়ে আমি একাধিকবার স্থানীয়দের নিয়ে তাদের সাথে শালিশ মিমাংসার বসি। কিন্তু তারা সালিশ মিমাংশা মানতে রাজি না। পরবর্তীতে আমি আদালতে মামলা করি। আর আদালত ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত সোমবার (২ অক্টোবর ) গভীর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে ওই বিবাদীরা অজ্ঞাত লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র, দা, লোহার সাবল, লাঠি-সোটা নিয়ে আমার দোকানঘরটি ভেঙে ফেলে এবং দোকানে ভাড়াটিয়ার প্রায় ১ লাখ টাকা লুটপাট করে নেয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা আমাদের মারধার করে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে প্রাণ নাশকের হুমকী দেয়। বর্তমানে বিবাদীরা আমার ওই দোকান ঘর ভেঙে ফেলে ওই জমিতে তারা নতুন করে দোকান ঘর তুলে জমি দখল করে তারা বালু দিয়ে ভরাট করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো: ফারুক সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার জমিতে আমির হোসেন জোর করে দোকান ঘর উঠিয়ে ভাড়া দিয়েছিল। আমি আমার ওই জমি দখল নিয়েছি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহিন ফকির জানান, এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন মো: আমির হোসেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।