ভোলার হাসপাতাল থেকেই ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

শাহীন কাদের/ইয়ামিন হোসেন : ভোলা জেলার ২০ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালের ভবনের উন্নতি হলেও চিকিৎসার কোন উন্নতি হয়নি বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা জর্জরিত দ্বীপ জেলা সদরের এ হাসপাতালটি। ২৩শে জুলাই দুপুরে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় এ যেন ডেঙ্গুর কারখানায় পরিণত হয়েছে। এ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এবং চারপাশে ময়লা-আবর্জনা, আর দুর্গন্ধ সেখানকার পরিবেশ আরও দূষিত করে তুলেছে। রোগীরা বলছেন, এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় বেড়েই চলছে ভোলায় ডেঙ্গুর বিস্তার।

ডেঙ্গু ওয়ার্ডের রোগীদের বেডের তলায় ময়লা রাখার পাত্রে পানি ও ফলমূলের খোসায় মাছি, মশার যেন বাড়ী-ঘর বেঁধেছে। যেমনি অচেতন রোগীর স্বজনরা তেমনি পরিষ্কার-পরিচ্ছনতায় তাগিদ নাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

নামে মাত্র পরিচ্ছনতা কর্মীরা পরিস্কার করলেও সারাদিনই ময়লা-আবর্জনায় স্তূপ থাকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে। মশারী ছাড়া ফ্লোরে ময়লা-আবর্জনার পাশেই শুয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক ডেঙ্গু রোগীকে।

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, হাসপাতালের পুরনো ভবন ঘেঁষা একটি ডাস্টবিন। সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, কিন্তু পরিষ্কার করা হয়নি দীর্ঘদিনেও। তাই পরিবেশ দুর্গন্ধময়। এখানেই পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা আর জমে থাকার পানি, পলিথিন, পরিত্যক্ত যন্ত্রাংশ ও স্যালাইন-ওষুধের খোসা। এ সড়কের মধ্যেই পানি আর আবর্জনায় দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর লাভা। এভাবেই বিস্তার ঘটছে ডেঙ্গুর।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ডেঙ্গু রোগীদের যত্নসহকারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকায় কিছুতেই যেন ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। দুর্গন্ধের কারণে করা যাচ্ছে না হাঁটাচলাও। হাসপাতালের চারপাশ পরিচ্ছন্ন না করে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়া হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

ডেঙ্গু ওয়ার্ডের তথ্যমতে, ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৯৭জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫জন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। ২৩শে জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩২জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি বলেও জানা গেছে।

ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মু. মনিরুল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় এমন হয়েছে। খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।