ভোলায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

মোঃ শাহীন কাদের ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণ:প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, দুরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভোলা জেলার উদ্যোগে এক সাথে ভোলা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নসহ ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মঙ্গলবার মাগরিব বাদ কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রাইসুল আলম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খান, হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ প্রমুখ।
বক্তারা তার জীবনী সমন্দে আলোচনা করতে গিয়ে ভোলা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সততার প্রতীক। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষণায় দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে সামিল হয়। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন না। জাতি যখন নেতৃত্বশূর্ণ দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জল নক্ষত্রের মতো আবির্ভাব হয়েছিলেন।
ভোলা জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ বলেন, ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নিভৃত পল্লী বাগবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর পিতা মনসুর রহমান সরকারি চাকরির জন্য প্রথমে কলকাতায় ও ’৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চলে যান করাচি শহরে অবস্থান করায় সেখানেই তার লেখাপড়া। শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমী কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। পাক-ভারত যুদ্ধে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসাবে সেক্টরে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি এই যুদ্ধে কোম্পানির সর্বোচ্চ খেতাব ও ১টি বিশেষ উপহার লাভ করেন। জিয়াউর রহমান না থাকলে স্বাধীনতার অর্জন করতে পারতাম কিনা সন্দেহ। ১৯৮১ সালের ৩০মে’র এই কালো রাতে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় দেশী বিদেশী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম কায়েদ, সাবেক যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কবির হোসেন, থানা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রব আকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হোসেন, কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান সেন্টু, শ্রমিক দলের সভাপতি শহীদুল আলম মানিক, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল-আমিন, সহ-সভাপতি রবিন চৌধুরী, মীর রনি, লুকু চৌধুরী, মনির হোসেন, যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রদলের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদারসহ ভোলা জেলা বিএনপির সকল সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।