দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ভোলা-৩ এ আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী

জাহিদ দুলাল, লালমোহন ॥ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় ভোলা-৩ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চলতি বছরের শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নির্বাচনের এখনও প্রায় ১০ মাস বাকী থাকতেই ইতোমধ্যে লালমোহন-তজুমদ্দিনের গণমানুষের মধ্যে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। চায়ের কাপে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে জল্পনা কল্পনা। দ্বীপজেলা ভোলার মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে ভোলা-৩ আসন। এটি জাতীয় সংসদীয় আসন-১১৭। লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এ আসনের পূর্বে মেঘনা নদী আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বৃহৎ দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ অন্যদলগুলোরও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তার হাত ধরেই ভোলা-৩ আসন বিএনপির দূর্গে পরিনত হয়েছিল। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এ প্রার্থীকে হারিয়ে আসনটি লাভ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেজর (অব:) জসিম উদ্দিন আহমেদ। তবে তখনও এ আসনে বিএনপির আধিপত্য ছিল। দেড় বছরের মাথায় একটি মামলায় সংসদ সদস্য পদ হারান মেজর (অব:) জসিম উদ্দিন। এরপর ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল উপনির্বাচনের মাধ্যমে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এরপর থেকে তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতা ও নৈপূণ্যতায় একসময়ের বিএনপির দূর্গখ্যাত এই আসনটি বর্তমানে আওয়ামীলীগের দূর্গে পরিনত হয়েছে। ফলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাওন। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামি শাসনতন্ত্রসহ কয়েকটি দলের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
এরমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) জসিম উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের আলী স্বপনসহ আরো একজন মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা যায়। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে সাংগঠনিক কার্যক্রম বা মাঠে দেখা যায়নি।
এদিকে বিএনপির দূর্গখ্যাত আসনটিকে আওয়ামীলীগের দূর্গে পরিনত করায় আগামী নির্বাচনে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে এগিয়ে রাখতে চান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে ও আবারো আসনটি জয় করতে হলে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিকল্প নেই।
অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রীম কোর্ট শাখার জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মো. কামাল হোসেন, মার্শাল হিমু, চরভূতা ইউনিয়ন পরিষদের আকতারুজ্জামান টিটব এর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এ আসনে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় নিস্ত্রিয় হয়ে রয়েছে দলটি। এছাড়াও জাতীয় পার্টি (নাঙ্গল) এর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলটির ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুননবী সুমন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্রের হাফেজ মোসলে উদ্দিন ও মাওলানা রাশেদুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।