বাউকুড়ানির দৈত্য

জাহীদ হোসেন

হঠাৎ করেই আমাদের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে
তোমাকে মনে হয় অনেক দূরের পথিক,
যেনো এক জনমের পথ, দূর অতীত।
তুমি দীপ্ত পায়ে অরণ্যে হেঁটে চলো
তোমার মসৃণ পায়ের নিচে পাতা ভাঙ্গার শব্দ,
দিগন্তে মিশে যাও খসে যাওয়া তারাদের মতো,
ক্রমশ অন্ধকার ঘনিয়ে আসে আমার খুব কাছে
আর অবেলায় টুপ করে ডুবে যায় আমার সূর্য।

তোমাকে ভেবে মনের মাঝে একটা শিহরণ হয়!
চোখ নেমে আসে মায়াবী বনের কাছে, মনে হয় অবিনশ্বরের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধে নেমে পরি,
তোমার মুষ্টিতে গুঁজে দিই এক স্বর্গীয় পতাকা।
ঘোষণা করে দিই, তোমার চিবুকের ঐ চিহ্ন
সেটা আমার ছোঁয়া আর আমার ঘনিষ্ঠতা!
তখন বহুদূরে গভীর অরণ্যে শুনতে পাই
তোমার রহস্যময় হাসি আর পাতা ঝরার কান্না।

সাঁঝের বেলা আকাশে খেলা করে সাদা পায়রা
শত ঝড়-ঝঞ্ঝা অন্ধকারেও ওরা পথ হারায় না,
দিন শেষে ঘরে ফেরাই ওদের চিরাচরিত সত্য।
তোমার মাঝে খেলা করে বাউকুড়ানির দৈত্য!
আমার এক জনমে ভালোবাসার প্রাপ্তি নেই
আমার দিন যায় রাত যায়, বসন্ত চলে যায়,
তবুও অপেক্ষা, সেই চিরায়ত আশার ঝলকানি
পাখিরমতো বাঁধাপেরিয়ে নীড়েফিরবে কী তুমি!

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।