ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বহীন করা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহত শহিদদের স্মরণে ভোলা জেলা আ’লীগ কার্যালয় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা আ’লীগ কার্যালয় ভবনে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় সভায় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ৬৯’র মহানায়ক, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এমপি। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে বারুদ আর রক্তমাখা বিভীষিকাময় রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। রবিবার (২১ আগষ্ট) এই নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ নেতাকর্মী, পঙ্গুত্ববরণ করতে হয় অনেককে। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করা এবং এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া। পরিশেষে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেই নারকীয় কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে সেই অপচেষ্টা রুখে দেয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধ চক্র এখনো নানানভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তোফায়েল আহমেদ।

জেলা আ’লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু বলেন, এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সে সময়ের সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকেই এই বিভীষিকাময় কর্মকা-ের বিচারে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে মামলার রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান তিনি।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ প্রমুখ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পৌর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, কৃষকলীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, তাতীলগের আহ্বায়ক এনামুল হক আরমান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নীলয়। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবু ছায়েম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলামসহ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।