ভোলার বাণী ডেস্ক ॥ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা চাচ্ছে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নস্যাৎ করতে। পদ্মা সেতু বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের এক বিরাট অর্জন। আমরা যাতে এ অর্জনের সুফল ঘরে তুলতে না পারি, তার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করতেছেন।
রবিবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এ কথা বলেন। ২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন। ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। সেখানে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। তার প্রস্তুতি নিতে আজ চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা করা হয়েছে। জ্যাকব বলেন,পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখ লোক সমাগম হবে, সারা দেশে উৎসব হবে। এটাও আমাদের আরেক বিজয় হবে।
বিএনপির উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করছে, তারা আজও আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছেন। ৭৫-এর পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী সম্পর্কে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রেই কাজ হবে না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখ লোক সমাগম হবে, সারা দেশে উৎসব হবে। এটাও আমাদের আরেক বিজয় হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির সভাপতিত্বে, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম ভিপির সঞ্চনলায় সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন আখন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন চেয়ারম্যান, আবু জাহের ভূঁইয়া, কাশেম মিলিটারি, পৌর মেয়র এইস এম মোরশেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মনির আহ্মেদ শুভ্র, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বিপ্লবসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।