সাগড়ে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বন্ধ থাকে না ভারতীয় জেলেদের মাছ শিকার

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। তবে জেলেদের অভিযোগ হচ্ছে বাংলাদেশী জেলেরা ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করলে ভারতীয় জেলেদের জন্য সুবিধা হয়। তারা ইলিশ শিকার করে আনন্দের সাথে। এরফলে কতটুকু সফলতা আসবে তা সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার চারপাশটাই মেঘনা-তেঁতুলিয়া এবং সর্বদক্ষিণে রয়েছে বঙ্গপোসাগড়। যে কারণে ভোলার জেলেরা সব সময় বিপাকে পড়ে। একবার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া আবার সাগড় সব মিলিয়ে প্রায় বছরের বেশির ভাগ সময়ই কোন না কোন সময় অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা থাকে। যদিও এসব কারণে সরকার জেলেদের জন্য হাজারো টন চাউল দিচ্ছে। জেলেদের অভিযোগ হচ্ছে সরকার নিষেধাজ্ঞা আর আমরাও মেনে চলি, তবে সরকার যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তা সঠিক ভাবে পাচ্ছি না। সব সময়ই তা অনিয়ম করে থাকে। এসব বিষয় অভিযোগ কিংবা পত্র-পত্রিকায় কিংবা টিভিতে নিউজ হলেও কোন লাভ হচ্ছে না।
বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এলাকার মো: ইউসুফ, আলী আকবরসহ বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, আমরা সাগড়ে যাব না; তবে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে তা দেখবে কে ? তারাতো এখন আরো আনন্দের সাথে মাছ ধরবে। এভাবে চল্লে সরকার যে কারণেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা সফল হবে না।
আমাদের চাউল বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজার এমন কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দৌলতখান উপজেলার মেঘনা পাড়ের জেলে মো: ইয়াসিন। অর্ধেক দিচ্ছে আর বাকী অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী যারা আছেন তারা এসব চাউল কিনে নিচ্ছে আর বস্তা পাল্টে বিক্রি করছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।