পুলিশের দেয়া ঘরে হাসি ফুঁটেছে আনোয়ারার

৫৫ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম। উত্তাল মেঘনার কড়াল ঘ্রাসে পর পর ৩ বার হারিয়েছেন নিজের বসত ভিটেসহ ঘর। সব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে আশ্রয় নেন ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের বুড়িরধোন এলাকার সরকারি খাস জমিতে। আনোয়ারার স্বামী গত হয়েছেন অন্তত ৭ বছর আগে। এরপর থেকে ৬ সন্তানকে নিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালান তিনি। থাকতেন সরকারি খাস জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘরে। যেখানে ঝুপড়ি ঘরই ছিল আনোয়ারার মাথা গোঁজার একমাত্র স্থান, সেখানে একটি আধা পাকা ঘরে বাস করা তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মত। তবে আনোয়ার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে কেবল ঘরই নয়, আনোয়ারাকে দেয়া হয়েছে ৪ শতাংশ জমিও।
দেশব্যাপী অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বাসস্থান নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদের নির্দেশে দেশের প্রতিটি থানায় অসহায় ও দু:স্থ পরিবারকে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। লালমোহন থানা পুলিশের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত ওই অত্যাধুনিক ঘরটি পেয়েছেন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের বুড়িরধোন এলাকার হতদরিদ্র আনোয়ারা বেগম। অন্তত ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুলিশের উপহারের অত্যাধুনিক এ ঘরটিতে থাকবে বিদ্যুৎ সুবিধাও।
উপহারের ঘরে নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা জানিয়ে আনোয়ারা বেগম বলেন, কখনও ভাবতে পারিনি পাকা ঘরে থাকবো। পুলিশ স্যারদের দয়ায় এখন একটি পাকা ঘর পেয়েছি। এ ঘরে আগামী দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটাতে পারবো। তাই সকল পুলিশ স্যারদেরকে মন থেকে দোয়া করছি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, পুলিশের আইজিপি স্যারের নির্দেশে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে অসহায় পরিবারকে ঘর দেয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় লর্ডহার্ডিঞ্জের অসহায় আনোয়ারার জন্য ৪ শতাংশ জমিসহ অত্যাধুনিক একটি ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীতেও বাংলাদেশ পুলিশের মানবিক এ কর্মকা- অব্যাহত থাকবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।