সর্বশেষঃ

হ্যান্ড পেইন্ট করে জীবন সংগ্রামে ভোলার মেয়ে আঁখি রানী

জে আই সবুজ ॥ বাবা ভজনশীল সেলুনে কাজ করত। ক্যান্সারে মারা গেছেন সাত মাস আগে। অভাব অনটনের সংসারে পড়াশুনার পাশাপাশি মা ও একমাত্র ভাই বাপ্পী রায় এর উৎসাহে হ্যান্ড পেইন্টের কাজ শিখি। এখন আমি উদ্যোক্তা, ভাল লাগছে, সম্মান বেড়েছে, সংসারের অভাব লাঘব হচ্ছে। এমনি বললেন ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা মুছাকান্দি গ্রামের আঁখি রানী।
ছোট বেলা থেকেই আঁকা আঁকির সখ ছিল আখি রানীর। ২০২১ সালে প্রথমে কিছু কাঠের গহনা এনে পেইন্ট করে লস দেন নিজের হাত খরচের জমানো দুই হাজার টাকা। কষ্টপান- হাল না ছেরে অনলাইনে কাপড় পেইন্ট করার ক্লাশ করে ও ইউটিউব দেখে কাজ শিখেন আঁখি রানী।
পরিবারের কেউ আপত্তি না জানালেও প্রতিবেশীরা নানান কথা বললেও ভেঙ্গে পরেন নি আঁখি রানী। রঙ-বেরঙ নামে একটি ফেসবুক পেইজ খুললে প্রচুর সাড়া পান। এখন সাড়া বাংলাদেশ থেকে অর্ডার আসতে থাকে। আঁখি বলেন, দিন রাত আপন মনে ফুটিয়ে তুলি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের নকশা। সরকারি অনুদান পাইনি তবে ভোলা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছি। আঁখি রানী ভবিষ্যতে তার ব্যবসায়ের লাভের একাংশ সামাজিক কাজে ব্যায় করার ইচ্ছাপোষন করেন। আঁখি রানী স্মার্ট উদ্দ্যোক্তা ফোরাম সহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। মাষ্টার্স পড়ুয়া আখিঁ রানী সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।