মনপুরায় ৫ দিন ধরে লাগাতার কোর্ট বর্জন আইনজীবিদের, বিপাকে বিচারপ্রার্থীরা

ভোলার মনপুরায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরু মিয়া স্থানীয় আইনজীবিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন, নিয়মিত কোর্ট না করায় বিচারপ্রার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে লাগাতার কোর্ট বর্জন অব্যাহত রেখেছে আইনজীবিরা। এদিকে আইনজীবিদের কোর্ট বর্জনের মুখে ছুটি নিয়ে ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক বাড়িতে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন আইনজীবিরা। গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে রোববার (২ জানুয়ারী) পর্যন্ত ৫ দিন ধরে লাগাতার কোর্ট বর্জন করছে আইনজীবিরা। এদিকে আইনজীবিদের লাগাতার কোর্ট বর্জন ও বিচারক না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে বিচারপ্রার্থীরা।
এপিপি আলাউদ্দিন হাওলাদার, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট নিমাই চন্দ্র দাস ও এ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন রাহাত অভিযোগ করে জানান, ওই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনজীবিদের সাথে কোর্ট চলাকালীন খারাপ আচরন করে। এছাড়াও তিনি জামিনের ধারা অযোগ্য ও ওনার বিচারকি ক্ষমতা না থাকার পরও তিনি বিশেষ ব্যাক্তিদের সুপারিশে জামিন দেন। আইনজীবিরা আরও জানান, ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকি ক্ষমতার বাহিরে গিয়ে জিআর ১২/১৬ চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্ঠা মামলার ৩৮০/৩৮৫/৩০৭ ধারায় এজাহার ও চার্জশীটভূক্ত আসামীদের জামিন দেন বিশেষ এক ব্যক্তির সুপারিশে।
সরেজমিনে রোববার কোর্ট প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা গেছে, আইনজীবিদের লাগাতার কোর্ট বর্জন ও বিচারক ছুটিতে থাকায় চরাঞ্চল সহ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা বিচারপ্রার্থীরা কোর্টে এসে ফিরে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ফরিদুর রহমান ও সম্পাদক নুরনবী মিয়া জানান, ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনজীবিদের সাথে সবসময় অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। কোর্ট বর্জনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি।
এ ব্যাপারে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক নুরু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কোর্টের কার্যক্রম নিয়মমাফিক চলছে। এর বাহিরে তিনি কথা বলতে নারাজ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।