ভোলায় বই বিতরণ শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে এবার বই উৎসব না হলেও নতুন বইয়ের পরশ থেকে বঞ্চিত হয়নি ভোলার শিক্ষার্থীরা। জেলার ১ হাজার ৪৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬ শত ৪৬ শিক্ষার্থীর মাঝে ১২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫ শত ২৯ টি বই বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে বই পেয়ে দারুণ খুশি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শনিবার অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শেষ হবে।
ভোলা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ নেওয়াজ চন্দন, বেলায়েত হোসেন, সূর্য মনিসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে উঠে।
অন্যদিকে শহরের নজরুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বই বিতরণ করা হয়। প্রধান শিক্ষক সাহিদা আক্তার সুমনা জানান, করোনার কারণে বই উৎসব না হওয়ায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ শুরু করেছি শ্রেণীভেদে পর্যায়ক্রমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। নজরুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সালমা সারমিন জানান, বই উৎসব না থাকলেও নতুন বই পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি আনন্দিত।
এদিকে ভোলার দৌলতখানের নলগোড়া শরীফ বাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও উৎসব মুখর পরিবেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়েছে। শ্রেণীভেদে পর্যায়ক্রমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। এ সময় প্রধান শিক্ষক শরীফ মুহা: মিজানুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম, সিনিয়র শিক্ষক মাইনু উদ্দিন, মেহেদি হাসান (মাসুদ), সহকারী শিক্ষক রিতা রানী ভক্ত, রাম কৃষ্ণ সিং, আতিকুর রহমান মিরাজ, মোঃ শরীফ হোসাইন, রোজাউল করিম দোলন, মোঃ আলমগীর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভোলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস জানান, বই বিতরণে কোন সমস্যা হচ্ছে না সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা সে অনুযায়ী কাজ করছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাধব চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, জেলার ৭ উপজেলার ৫ শত ১২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৩ লাখ ৭২ হাজার ২ শত ২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ শুরু হয়েছে।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জেলা শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩ টি বইর চাহিদা দেয়া হলেও এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৩০ লাখ ২২ হাজার ১ শত ৫৭ টি বই। এখনো ১২ লাখ ২৬ হাজার ৯ শত ২৬ টি বই ঘাটতি রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ শুরু হয়েছে আগামীতে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে।