সর্বশেষঃ

ভোলার রাজাপুর ও পশ্চিম ইলিশায় নির্বাচনী সহিংসতা ॥ আহত-২৫

ভোলায় পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষ পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের বিদোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের বাসার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ও বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনসহ তাঁর ১০ থেকে ১২ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলামেরও ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে তিনি তাঁর ইউনিয়নের এক জানাজা থেকে ফিরে তাঁর বাড়ির সামনের সড়কে এসে পৌঁছালে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তিনি গুরুত্বর আহত হন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা তাকে উদ্ধাের করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

অন্যদিকে ঘটনার পাল্টা অভিযোগ করেন নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি তাঁর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিছিন্ন একটি গ্রামে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর কয়েকজন সমর্থক বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনের সড়কে তাঁর নির্বাচনী পোষ্টার টাঙ্গাতে যায়। এসময় গিয়াস উদ্দিন ও তাঁর সমর্থকরা পোষ্টার টাঙ্গাতে বাঁধা দেয় এবং তাঁর সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা। এসময় তাঁর ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হয়।
অপরদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে পোষ্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী ও নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌকিদার ও আব্দুস সালাম হাওলাদার গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকেও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা করা হয়েছে।
উভয় ঘটনার বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে উভয় ইউনিয়নের অবস্থা মোটামুটি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল শুক্রবার বিকাল ৪টা দিকে পরিদর্শনে যান ভোলা সদর সার্কেল এসপি আবুল কালাম আজাদ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।