সর্বশেষঃ

যে ঐতিহ্যবাহী পরিবারে বাবুলের জন্ম

মামুনুর রহমান

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকেই আমাদের দেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য একটি বড় বিষয় হয়ে কাজ করেছে, পরিবার কেন্দ্রিক প্রভাব নিয়ে আমাদের দেশের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ভোলাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি পরিবারকে ঘিরে ভোলার রাজনৈতিক অঙ্গন আবর্তিত হয়েছে, এরমধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ভোলার মোল্লা পরিবার, এই পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি আর ঐতিহ্য ভোলার দীর্ঘদিনের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একদা এই পরিবার ঘিরেই আওয়ামী রাজনীতি আবর্তিত হতো। আওয়ামী রাজনীতির শুরু থেকেই এই পরিবার এর সাথে জড়িত, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার ব্যাবসা, সমাজসেবা আর রাজনীতিতে পাকা আসনের অধিকারী হয়েছে। বরিশালের গৌরনদী থেকে ব্যবসার কাজে ভোলা এসে মোল্লা পরিবারের পূর্বপুরুষরা যে শিকড় গেড়ে দিয়েছেন তা বংশ পরম্পরায় আজ অনেক শক্তিধর হয়ে ভোলার সামাজিক, সাংগঠনিক, সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাথা উঁচু করে সগৌরবে সদম্ভে দীপ্যমান হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ নেতা ভোলা-১ আসনের উপনির্বাচনে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন শহীদ ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা। যে কারণে ঘাতকের বুলেট বাবুলের বক্ষ বিদীর্ণ করে দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক সততা। পারিবারিকভাবে বাবুল রাজনীতিতে পেয়েছে ব্যাপক পরিচিতি শুধু জনপ্রিয়তায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বাবুলের জনসমর্থন জনপ্রিয়তা ছিল প্রতিপক্ষ রাজনীতিকের আতঙ্কের অন্যতম কারণ মুক্তিযোদ্ধা বাবুল খুব অল্প দিনেই অল্প সময়ে রাজনীতির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হতেন, যে কারণে লক্ষ্যে পৌঁছার আগেই তাকে পৃথিবীর আলো-বাতাস থেকে সরিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মাটির ঘরে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। বাবুলের মরদেহ ভোলার জনগোষ্ঠীর চোখের আড়াল হলেও বাবুল ভোলার ১৮ লাখ মানুষের কাছে অতি আপনজন অতি ভালোবাসার, অতি আদরের এক মানুষ। শুধু বাবুল একা নন, এই পরিবারে জন্ম লাভকারী গোটা মোল্লা পরিবার আজ ভোলাবাসীর কাছে শ্রদ্ধার সাথে বিদিত একটি পরিবার। রাজনীতির কলুষিত দূর্নীতি প্রতিহিংসা এদের স্পর্শ করেনি।
মোল্লা পরিবারের পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় এরা ছিলেন মূলত ধান সুপারি মরিচ সহ বিভিন্ন ভুষা মালের বড় ধরনের মহাজনী ব্যবসার সাথে জড়িত। গৌরনদী থেকে পরিবারের পূর্বপুরুষরা ভোলার দৌলতখানে নেয়ামতপুর এসে প্রথমে ব্যবসা এবং বসবাস শুরু করেন। পরে ভোলায় কালিনাথ বাজারে স্থায়ী বসবাস শুরুকরে পরবর্তীকালে এই ব্যবসা সম্প্রসারিত করেন বরিশাল ও খুলনায় ব্রিকফিল্ড এবং আইচ ফেক্টরির মাধ্যমে। ভোলাসহ কলকাতা পর্যন্ত এদের মহাজনি ব্যবসা বিস্তৃত ছিল। পরবর্তীকালে এরা ব্রিকফিল্ড ব্যবসায় জড়িত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের মিল কারখানা এজেন্সী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। ব্যবসায়িক কারণে এই পরিবারের পূর্বপুরুষ আমানুল্লাহ মোল্লা কলকাতাতে অবস্থান করতেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট এলাকায় আমানুল্লাহ মোল্লার কবর সংরক্ষিত আছে। আমানুল্লাহ মোল্লার ছেলে মনসুর আহমেদ মোল্লাও ব্যবসা পরিচালনা কালীন সময়ে বরিশালে মারা যান খুবই অল্প বয়সে, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তার সমাধি রয়েছে। মাড়োয়ারিদের সাথে মোল্লা পরিবার মহাজনী ব্যবসা ছিল দীর্ঘদিনের, ব্যবসায়িকভাবে এই পরিবারের সন্তানরা তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে। মনসুর আহমেদ মোল্লার ছেলেদের মধ্যে তৃতীয় ছেলে হচ্ছেন মোহাম্মদ সোলায়মান মোল্লা। তিনি এই পরিবারে প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তার অন্য ভাইরাও রাজনীতিতে অংশ নেয় সোলায়মান মোল্লা কলকাতা অবস্থানকালে হোসেন শহীদ সরোয়ারদির সাহচার্যে আসেন এবং সেখানে বসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে পরিচিত হন এবং পরবর্তীকালে তিনি আওয়ামী মুসলিমলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি ভোলা মহাকুমা আওয়ামী লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান সাবেক শিল্পমন্ত্রী জহিরউদ্দিন খান, জিল্লুর রহমান, আমেনা বেগম, আব্দুর রাজ্জাক, নুওে আলম সিদ্দিকি সহ আরও অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদদের সানিধ্যে আসেন, এদের অনেকেরই ভোলায় মোল্লা পরিবাওে যাতায়াত ছিল। ব্যবসায়ীক কারণে মাড়োয়ারি দের সাথে মোল্লা পরিবারের যোগসাজশ ছিল, তখন মোল্লাদের ছিল একাধিক রেস্ট হাউজ এবং ভালো বেশকিছু বাবুর্চি রান্নার জন্য, সে কারণে তখন বরেণ্য রাজনীতিবিদরা ভোলায় আসলে মোল্লা পরিবারের মাঝেই তারা অবস্থান করতেন তৎকালীন সময়ে ভোলার প্রধান আকর্ষণ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভোলার রাজনীতি আবর্তিত ছিল এই ফুটবল খেলায় এই পরিবার ছিল সর্বাগ্রে। যখন ভোলায় মুসলিম লীগের প্রচন্ড দাপট ছিল তখন সোলায়মান মোল্লা এবং আলতাজের রহমান তালুকদার যৌথভাবে মুসলিম লীগ নেতা ইলিয়াস মাস্টারের মোকাবেলা করতেন। আলতাজের রহমান তালুকদার ওরফে (বড় মিয়া) মোল্লাদের মামাতো ফুফাতো ভাই ছিলেন। তার ছেলে মরহুম মোশারেফ হোসেন সাজাহানও পরে একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রি হন। প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুলহাই মিনিস্টার ছিলেন সম্পর্কে মোল্লাদের মামা দৌলতখান এর ঐতিহ্যবাহী অদুদ মিয়ার পরিবারও মোল্লাদের আত্মীয় ছিলেন, এছাড়া নাদের মিয়ার পরিবার (যার দেওয়া জায়গায় বর্তমানে ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়), শামসুদ্দিন মিয়ার (তিনবার পৌর চেয়ারম্যান ও দীর্ঘকাল আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন) পরিবারসহ ভোলার ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রধান পরিবারগুলোর সবাই কোনো না কোনোভাবে মোল্লা পরিবারের সাথে আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন। সোলায়মান মোল্লা ভোলা পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম মুসলিম চেয়ারম্যান ছিলেন, আইয়ুব খানের সামরিক আইন চলাকালীন সময়েও তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার ছোট ভাই আবুল ফারাহ চৌধুরী মোল্লা বাপ্তা ইউনিয়ন এর দীর্ঘ ৩৫ বছর স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন, তার ছেলে ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা বর্তমান মেয়াদ সহ তিন বার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উনসত্তরের ১০ জুলাই সোলায়মান মোল্লা চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। সত্তর সালে বঙ্গবন্ধু ভোলা আসলে প্রথমেই সোলায়মান মোল্লার কবর জিয়ারত করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল, ব্যক্তিগত বন্ধু পর্যায়ের। শহীদ ওবায়দুল বাবুল তার বড় ছেলে। ভোলা পৌরসভা সোলায়মান মোল্লার নামে একটি সড়কের নামকরণ করেছেন। জনগণ মোল্লাবাড়ির এলাকাকে মোল্লা পট্টি নামে অভিহিত করেন।
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এই পরিবারের সদস্যদের অবস্থান সুদৃঢ় এবং দীর্ঘদিনের। ওবায়দুল হক বাবুল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ফজলুল হক হলের ভিপি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ভিপি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি ভোলা মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালীন ভোলা মহাকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়াও তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, জহিরুল ইসলাম মোল্লা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন, বজলুর রহমান মোল্লা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য এবং কৃষক লীগের সভাপতি, মহাজন সমিতির সভাপতি ছিলেন। হামিদুল হক বাহালুল মোল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, এছাড়াও বাহালুল মোল্লা ভোলা পৌরসভার কমিশনার ছিলেন এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি ছিলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সুটিং ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ও ভোলা জেলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নীরব মোল্লা বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও মুক্তিযাদ্ধা সংসদ ভোলার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের ভোলাজেলা প্রতিনিধি। আলম মোল্লা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন, তুহিন মোল্লা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। শহিদুল হক মুকুল মোল্লা কাপ্তাই ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের ভোলা জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য। একাধিকবার বিজিএমইএ পরিচালক ও ঢাকাস্হ ভোলা জেলা সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বিপ্লব মোল্লা ছাত্রলীগের ভোলা কলেজ সংসদে ভিপি নির্বাচন করেছিলেন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। মিজানুর রহমান লিটন মোল্লা ছিলেন ছাত্রলীগের আহবায়ক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইদুল ইসলাম বাবু মোল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এই পরিবারের অন্যরা সবাই ব্যবসায়িকভাবে সুপরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ইরফানুর রহমান মিথুন মোল্লা দ্বিতীয় মেয়াদে পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের পরের প্রজন্ম ও একই রাজনীতৈক দলের সাথে সম্পৃক্ত হতে চলেছেন, নীরব মোল্লার ছেলে আজিজ মেহরাব মোল্লা ইতিমধ্যেই ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়ার সহ-সভাপতির দায়িত্বে কাজ করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এই পরিবারটির ছিল অনবদ্য ভূমিকা বাড়ির ছোট বড় সকলেই মুক্তিযুদ্ধে কম বেশি অবদান রেখেছিলেন ফজলুল কাদের মজনু ও ওবায়দুল হক বাবুল স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র টেলিগ্রাম মারফত পাওয়ার সাথে সাথেই ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার করেছেন। চৌধুরী মোল্লা এবং জহিরুল ইসলাম মোল্লা মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছেন, আর্থিক ভাবে সাহায্য প্রদান করেছেন। ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা মহাকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকার সাথে একই সঙ্গে ভোলা সদর রোড বরিশাল বিল্ডিং এর সামনে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। নীরব ও বাহালুল মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে চলে যান, সেখানে ট্রেনিং অবস্থায় তোফায়েল আহমেদের সাথে দেখা হয়, পরে কিছুদিন ক্যালকাটায় মুজিব বাহিনীর সদর দপ্তরে থাকার পরে, খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান কামরুজ্জামান টুকুর সাথে তারা খুলনায় প্রবেশ করেন। বাবুল মোল্লা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন এবং মুজিব বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ভোলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মোল্লাবাড়িতে মহিলাদের জন্য একটি যুদ্ধ প্রশিক্ষণ চালু করা হয়। অনেক মহিলা মুক্তিযোদ্ধা এখানে রাইফেল এবং ফাস্ট এইড ট্রেনিং নেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো মোল্লাবাড়ি একাধিকবার লুট করে নেয় পাকবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসররা।মোল্লাদের সবচেয়ে গৌরবের বিষয় হচ্ছে, সাধারণত বড় বড় পরিবার গুলোতে নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকে, মোল্লা পরিবারে তা নেই, একই বাড়িতে অনেক রাজনৈতিক দল থাকে, মোল্লা পরিবারের শুধু একটিই দল, আওয়ামীলীগ। পরিবারের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সকলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্ষমতা লোভের রাজনীতির সাথে এই পরিবারের কেউ জড়িয়ে পড়েননি। আদর্শিক রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে সকলের কাছে মোল্লা পরিবার পরিচিত, কোন সন্দেহ নেই যে, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও আওয়ামী আদর্শের উত্তরাধিকারী হয়েই বেঁচে আছে এই পরিবারের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। তথাপি আজ অবদি বাবুল হত্যার বিচার অধরাই রয়েগেল, এটাই মোল্লাদের সবচেয়ে বড় কষ্টের কারন হয়ে বংশ পরম্পরায় থেকে যাবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।