ভোলায় গৃহবধুসহ ২জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম

ভূমিদস্যুদের জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধুসহ ২জনকে এলোপথাড়ি পিটিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। আহত গৃহবধূ আসমা বেগম লিপি ও আবু সাঈদকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) ভোলা সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের আবু সাঈদ তালুকদার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে হামলার শিকার ভূক্তভোগী পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগে আহত আবু সাঈদ তালুকদার বলেন, একই এলাকার আবুল কালাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আমার ভোগদখলীয় জমি জোড়পূর্বক দখলে চেস্টা চালিয়ে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে শালিস মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যু আবুল কালামের ছেলে মোঃ শান্ত ও তার মেয়েরা স্থানীয় শালিস মিমাংসাকে তোয়াক্কা না করে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকালে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জমিতে প্রবেশ করে সীমানা পিলার তৈরি করে। এসময় আমি শান্ত ও তার বোনদেরকে আমার জমিতে প্রবেশ করে কেনো পিলার নির্মান করছে বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শান্ত, মোসাঃ মুন্না, মোসাঃ ঝর্না বেগম উত্তেজিত হয়ে ধাড়ালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করে। আমার আত্মচিৎকার শুনে ছেলের বউ মোসাঃ আসমা বেগম লিপি এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসী মোঃ শান্ত, মুন্না বেধড়ক মারধর করে। এসময় আসমার কাপড় টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানীর চেস্টা করে ও তার থাকা স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারী শান্ত গংরা। পরে আসমা অজ্ঞান হয়ে পড়লে হামলাকারীরা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে আবু সাঈদ ও আসমা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। আসমা বেগম বর্তমানে হাসপাতাল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ভূমিদস্যু মোঃ শান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আবু সাঈদ জানিয়েছেন।
ভূক্তভোগী আবু সাঈদ তালুকদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আবুল কালামের ছেলে সন্ত্রাসী মোঃ শান্ত প্রায় সময় আমাদের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায় ও জমিতে প্রবেশ করে গাছগাছালি কেটে নিয়ে যায়। তারা খারাপ প্রকৃতির লোক। শান্ত কিছুদিন আগে নারী নির্যাতন মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমাদেরকে প্রাণনাশসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। তাদের ভয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাই। শান্ত বাহিনী আজ (মঙ্গলবার) আমার জমিতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে সীমানা পিলার স্থাপন করে। আমি বাঁধা দেওয়ায় আমাকেও আমার ছেলে বউকে মারধর করেছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম ও শান্ত গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আসমা বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।