ভোট কেন্দ্র নিয়ে মেম্বারের ষড়যন্ত্র।। ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ এলাকাবাসী 

আসন্ন ইউপি নির্বাচন কে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বেশ জমে উঠেছে। বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ সম্ভাব্য প্রার্থীরা ও চালাচ্ছে প্রচারণা, যাচ্ছে ভোটারদের কাছে। যার যার জনপ্রিয়তা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি প্রার্থীরা চায় ভোট কেন্দ্র যেন যার যার আস্থানায় থাকে, রাখার জন্য করেন তদবির সুপারিশ।

কেন্দ্র নিজ বাড়ীর দরজায় নিতে নানান ভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন ভোলা সদরের ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ফখরুল মেম্বার এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সরজমিন ইলিশা ৭নং ওয়ার্ডের কালু মিয়ার হাট গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ বছর ধরে এই দক্ষিণ ইলিশা স্কুলে ভোট কেন্দ্র ছিলো তখন বিদ্যালয়টি বেসরকারী ছিলো, এখন বিদ্যালয়টি সরকারী হইছে দুইটি ভবন রয়েছে কিন্তু নিজের স্বার্থ হাসিল এবং প্রভাব বিস্তারের জন্য মাত্র একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন বর্তমান মেম্বারের বাড়ীর দরজায়, সেখানে কেন্দ্রটি কেটে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তিনি।
আশুরা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা বলেন এই স্কুলে আমরা ছোটকালে পড়াশোনা করছি, ভোটার হওয়ার পর ভোট দিসি, এখন নাকি মেম্বারে কেন্দ্র কেটে নিতে চায়।
ওই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্ভব্য মেম্বার প্রার্থী জশিম হাওলাদার বলেন এই ওয়ার্ডের ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ভাবে এখানে ভোট দিয়েছে, কখনো সমস্যা হইনি কিন্তু হঠাৎ ফখরুল মেম্বার কেন্দ্রটি তার বাড়ীর দরজায় কেনো নিতে চায়, আমরা জানিনা।
এ ছাড়াও সম্ভব্য মেম্বার প্রার্থী পারুল বেগম মিলন, আলমগীর ফরাজী, আলাম মাঝি, ইউসুফ পাটোয়ারীসহ সকল প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দক্ষিণ ইলিশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র রাখার দাবী জানান।
সাবেক মেম্বার ছিদ্দিক হাওলাদার বলেন, এই কেন্দ্রের চার ভাগের একভাগ ভোট আছে ফখরুল মেম্বারের এলাকায় কিন্তু তিনি নিজের প্রভাবের জন্য বাড়ীর দরজার স্কুলে কেন্দ্রটি নিতে চাচ্ছেন।
এই বিষয়ে ফখরুল মেম্বার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলা হয়েছে, আমি এর সাথে জড়িত না।
তবে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবী ভোটারদের সুবিধা যেখানে হবে এবং সুষ্ঠু ভোট যেখানে হবে সেখানেই কেন্দ্র থাকবে, কারো ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে দেওয়া হবে না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।