পরীমনি ও একার “সদস্যপদ” স্থগিত

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও একার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এ দুই চিত্রনায়িকার সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। শনিবার বিকেল ৫টায় এক সংবাদসম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
মিশা সওদাগর বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিল্পী সমিতির সদস্য চিত্রনায়িকা পরীমনি ও একা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। এ বিষয়ে মামলাও চলছে। তাদের ব্যক্তিগত কোনো অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকা-ের দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নেবে না। তাদের ব্যক্তিগত যাবতীয় কর্মকা-ের দায়-দায়িত্ব শুধুমাত্র তাদেরই। এর সঙ্গে শিল্পী সমিতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যেহেতু সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেহেতু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে যথাযথ বিধিমোতাবেক আপাতত তাদের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হলো।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬-এর ‘খ’ ও ৯-এর ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সমিতির কোনো সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কাজে লিপ্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত হবে। তবে আদালতে যদি প্রমাণ হয় তিনি নির্দোষ, তাহলে ফিরে পাবেন পদ। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আজীবনের জন্য সমিতির সদস্যপদ হারাবেন। সে কারণেই পরীমনি ও একার সদস্যপদ পুরোপুরি বাতিল না করে সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর আগে পরীমনির বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেছিলেন, ‘শিল্পী সমিতি সবসময় শিল্পীদের পাশে থাকবে। এটা ব্যক্তিগত সমিতি না, শিল্পী সমিতি। সভাপতি হিসেবে শিল্পী সমিতির সংবিধান আমাকে সম্মানিত রাখতে হবে। সংবিধান যা বলবে তাই হবে। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। সংবিধান পাশ কাটিয়ে যেতে পারব না। শিল্পীর ভালো কাজে সমিতি পাশে থাকবে। খারাপ কাজে পাশে থাকার প্রশ্নই ওঠে না বলেও জানিয়েছিলেন মিশা সওদাগর।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানকালে তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিকে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেপ্তার হয়েছেন চিত্রনায়িকা একা। রাজধানীর উলনের বাসা থেকে গত ৩১ জুলাই তাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এসময় তার বাসা থেকে ইয়াবা এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী হাজেরা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আর একার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।