চরফ্যাশনে সাবেক যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হাফিজিয়া মাদ্রাসার পুকুর ভরাট করে মার্কেট করতে বাঁধা দেয়ায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশনের আহমেদপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার পুকুর ভরাট করে মার্কেট করতে বাঁধা দেওয়া মাদ্রাসায় ভাঙচুর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নুরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের সভাপতি হাসনাইন এর বিরুদ্ধে। গত ২০ শে জুলাই বিকালে আহমদ পুর ৩নং ওয়ার্ডের আলীবাজার কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ-ই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলীবাজার কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল হক এর ছেলে ও নুরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের সভাপতি হাসনাইন জোর পূর্বক ওই হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি পুকুর ভরাট করে কয়েক মাস ধরে মার্কেট করার পায়তারা করে আসছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে হাসনাইন ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদ উল আযহার আগের দিন মাদ্রাসায় ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাবে চেয়ার টেবিল ও দরজা জানালা ভাঙচুর করেন। এসময় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাহমুদ ও সেক্রেটারি কামরুল মেম্বার বাধা দিলে তাদের কেউ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন হাসনাইন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন আগে হাসনাইন মাদ্রাসার ঢুকে মাদ্রাসা শিক্ষক ও কোমলমতি শিশুদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করে তাদেরকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। এসময় রিয়া (১১) নামের এক শিক্ষার্থীর মাথা পাটিয়ে দেয় হাসনাইন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, হাসনাইন যুবলীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় এমন কোন অপরাধ ও অপকর্ম নেই সেই না করে। তার অত্যাচারে এলকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হামলা ও নির্যাতন করে থাকে। হাফিজিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি কামরুল মেম্বার ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাহমুদ হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল হক এর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত সাবেক যুবলীগের সভাপতি হাসনাইন হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি মাদ্রসার জায়গা না। এটি আমাদের জমি। তা ছাড়া তার বাবা যে মাদ্রাসায় ১২ শতাংশ জমি দলিল করে দিয়েছেন তা টিকবে না বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে দুলাল হাট থানার এস আই হেলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তাদের ভাই ভাইদের জমি জমার বিষয় নিয়ে ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার দরজা জানালা ভাংচুর করা হয়েছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়া কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।