ঈদ পরবর্তী প্রথম দিনেই শহরমুখী যাত্রীদের ভিড়

রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মমুখী মানুষের ঢল নামায় এবং বাড়ি থেকে ঢাকা চিটাগং ফিরতে ভোলার ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভির দেখা গেছে। নদী পারাপার হতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার কোনও আলামত দেখা যায়নি। ইলিশা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়- ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও শত শত মোটরসাইকেল যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করছে।

এতে ঘাটে উপচে পড়া ভিড় জমেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দূরের কথা, ঘাটের পল্টুনে পা রাখার জায়গাও নেই । ঢাকার দিকে যেভাবে মানুষ যাচ্ছে, তেমনি ঢাকা থেকে মানুষ বাড়িও ফিরতে দেখা যায় বেশ।

করোনাভাইরাসের কারণে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন এর আদেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে ।এতে লঞ্চ চলাচলও রয়েছে বন্ধ থাকার আদেশ রয়েছে। এদিকে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন এর নির্দেশ থাকায় আজ ২২ জুলাই যাত্রীদের থিকথিকে ভীর জমেছে ঘাট এলাকা গুলেতে। তবে সকাল ১১ঃ৩০ মিনিটে ইলিশা ঘাট থেকে মজুচৌধুরির হাট উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় শহীদ সুকান্ত বাবু নৌ যানটি। তবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেন নৌযানটি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এ ঘাটে নৌযানের ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিস্ট প্রশাসনের ভুমিকা ছিলো নিরব।

অবিআইডব্লিউটিএ উপ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, নৌযান চলাচল করলে যাত্রী পারাপার করবেই । ওভার লোডএর বিষয় প্রতিহত করার জন্য আমরা কোষ্টগার্ড,নৌ পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত রেখেছি তবুও ওভারলোড প্রতিহত করতে আমরা পরিপূর্ন সক্ষম হচ্ছিনা। তিনি বলেন যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করে ঘাট ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ওভার লোডের বিষয়ে ইজারাদারের সেচ্ছাচারিতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ টিএর উপপরিদর্শক।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।